গুলশান হামলা সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত
অনেকেই বলছে- ‘হামলাকারীরা যদি ইসলামিস্টই না হয়, তাহলে জিম্মিদের কলেমা পড়তে বললো কেন ? কেন কোরআনের সূরা পড়তে বললো ? আর হিজাব পরিহিতাদের কেনই বা ছেড়ে দিলো ?”
আরে ভাই আপনি এত বোকা কেন ?
ঐ হামলকারীরা যদি প্রকৃত ইসলামিস্ট হতো, তবে তারা ঐ বেকারীর মধ্যে হামলা করতে যাবে কোন দুঃখে ? ঐ ব্যাকারীর মধ্যে কতগুলো মানুষ মারলেই কি ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে ? ইসলাম কি খালি ঐ ব্যাকারীর মধ্যে থাকে ??
আপনাকে বুঝতে হবে, গতকালকে হামলাকারীদের উদ্দেশ্যটা কি ছিলো ?
উদ্দেশ্য ছিলো সবার কাছে একটা মেসেজ থ্রো করা।
মেসেজটা হলো- বাংলাদেশে কথিত জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছে, তাই আমেরিকা তোমরা বাংলাদেশে হামলা করো। সিরিয়া-ইরাকের মত বাংলাদেশকেও ধ্বংসস্তুপে পরিণত করো।
এখন সেই মেসেজটা দিতে গেলে তাদের কি করতে হবে ?
নিজেদেরকে তো ইসলামিস্ট বলে কিছু কিছু জিনিস প্রমাণ করতে হবে, শুধু মানুষ মারলেই তো হবে না। এই জন্য-
১) শুরুতে আল্লাহু আকবর বলে তারা ধ্বনী দেয়
২) সবাইকে কোরআন তেলওয়াত করতে বলে
৩) কলেমা পড়তে বলে ।
৪) হিজাব পড়লে ছেড়ে দেয়।
উদ্দেশ্য সবাইকে সেই মেসেজটা থ্রো করা যে- আমরা হচ্ছি ইসলামপন্থী। অথচ এরাই আবার নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে, নিজেদের ক্ষেত্রে কিন্তু দাড়ি-টুপি’র বালাই নেই। উল্লেখ্য আমেরিকার যেদিকে চোখ পড়ে, সেখানে এ ধরনের বহু ঘটনাই ঘটে, এটাই স্বাভাবিক ।
গতকালকে হামলার যেই করুক, এটা বিছিন্ন ঘটনা, এর দ্বারা প্রমাণ হয় না বাংলাদেশে জঙ্গীরাষ্ট্র হয়ে গেছে । প্রকৃতসত্য- বাংলাদেশে কোন আইএস নাই। আমেরিকার সিআইএ , ইহুদী মোসাদ ও ভারতীয়রা চাইছে একটা অজুহাত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে, এটাই মূল কথা। সবাই একযোগে প্রতিবাদ করুন, নিজেরাই হামলার জন্য হাইহুতাশ বাদ দিন। সারা বিশ্বে এ রকম বহু ঘটনা প্রতিদিন ঘটে, এরকম একটা ঘটনা ঘটলে বাংলাদেশের কিছুই আসবে যাবে না, কিন্তু এর অজুহাত দিয়ে সম্রাজ্যবাদীরা ঢুকলে সমস্যা হবে ।
সবাই সজাক হউন- এ ঘটনার অজুহাত দিয়ে যেন কোন বিদেশী শুকুন বাংলাদেশের দিকে চোখ না দিতে পারে। আর একই সাথে যারা প্রচার করছে বাংলাদেশে আ্ইএস আছে (বিশেষ করে হিন্দু ও নাস্তিকরা), তাদের স্ক্রিনশট নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মেইলে জমা দিন।
No comments