Header Ads

ad728
  • Breaking News

    খাওয়া নিয়ে একটি বিশ্লেষণ

    আমি প্রায় সকল ধর্ম নিয়েই চিন্তা করি, গবেষণা করি। ইসলাম ধর্ম নিয়েও অনেক চিন্তা করি। চিন্তা করে একটা জিনিস বের করলাম, মুসলমানদের একটা বিষয় বেশ ইউনিক, সেটা হচ্ছে তাদের ধর্মীয় বিধান বা বাউন্ড। আমি মুসলিম বন্ধুদের থেকে জেনেছি, এটাকে তারা বলে ‘ইসলামী আইন’ বা ‘শরীয়ত’। এই ‘শরীয়ত’ বাউন্ডটার কারণে কিন্তু মুসলমানরা অনেক কিছু করতে পারে না। যেমন একজন মুসলিম প্রায় বলে- “আমার ধর্মে এটা খাওয়া যাবে না’, ‘ওটা খাওয়া যাবে না’, `অমুক হারাম, তমুক হালাল’। এগুলো নিয়ে সে বেশ খুত খুত করে। আমাদের মধ্যে অনেকে এটা নিয়ে বেশ ঠাট্টা মষ্করা করে, বলে- “ইস ! মুসলিম হলেই যত সমস্যা, যত নিয়ম কানুন আর হালাল-হারাম”। তবে আমি ভেবে দেখেছি, মানুষ হিসেবে একটা নিয়মের মধ্যে থাকা কিন্তু ভালো, যার সেই নিয়ম নেই, সে মানুষ অনেক সময় মানুষ নাও থাকতে পারে। যখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারে, যা ইচ্ছা তাই খেতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। আমার লেখার বিষয়বস্তু- মুসলিমদের খাদ্যাভ্যাসে বাধা কিন্তু অমুসলিমদের স্বাধীনতা। গত কয়েকদিন ধরে একটা খবর দেখছি, আমরিকায় হটডগ (এক বিশেষ ধরনের ফাস্ট ফুড) এর উপর একটি জরিপ হয়েছে। ৭৫টি ভিন্ন ব্র্যান্ডের হটডক টেস্ট করে দেখা গেছে তার মধ্যে ২% মানুষের ডিএনএ আছে। মানে ঐ কোম্পানিগুলো তাদের হটডগের ভেতর মানুষের মাংশ মেশাচ্ছে (http://goo.gl/Ey9i6G)। আসলে হটডগ কোম্পানিগুলো কোথা থেকে মানুষের মাংশ সংগ্রহ করছে সেটা জানা যায়নি, তবে এটা ঠিক মানুষের মাংশ থাকলেই যে মার্কিনীরা হটডগ খাওয়া কমিয়ে দেবে তা নয়। তবে এটা ঠিক মুসলিমরা ঠিক এটা শুনলে হট ডগ কেনা বন্ধ করে দেবে। কারণ তাদের আবার ধর্মীয় নিয়ম-কানুন আছে। সত্যিই বলতে মানুষের মাংশ খাওয়া পশ্চিমা জগতের দোষের কিছু নয়, বরং আভিজাত্যের লক্ষণ। সম্প্রতি একটি দলিলে দেখা গেছে, ব্রিটিশ রাজ পরিবার আজ থেকে ৩০০ বছর আগে মানুষের মাংশ খেতো এবং সেটাকে তারা আভিজাত্যের লক্ষণ বলেই গণ্য করতো। (http://goo.gl/cnIoXa) তবে এখনও তারা সেই আভিজাত্যতা বজায় রেখেছে কিনা সেটা হয়ত এখন জানা যাবে না, আরো ৩০০ বছর পর জানা যেতে পারে। আসলে মুসলমানরা যত নিয়ম কানুন মানে, বাকিদের জন্য কিন্তু এত নিয়ম কানুন নেই, সব কিছু সোজা-সাপ্টা। কিছুদিন আগে এক খবরে দেখলাম যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে একটি সম্প্রদায় আছে যারা মানুষের রক্ত খায়। অনেক সময় মানুষের হাত-পা কেটে কাটা অংশ থেকে চুষে চুষে রক্ত খায়, আবার গ্লাসে ঢেলে কোকের মত খায়। বিষয়টি নিয়ে যে তারা লজ্জিত তাও নয়, বরং মিডিয়াতে বেশ অহংকারের সাথেই তারা সাক্ষাৎকার দিয়েছে । (http://goo.gl/3mxaw6, https://goo.gl/YjjMhl) মুসলমানরা খাওয়া নিয়ে বৈধ-অবৈধ বাছে বলে তাদের খাদ্য মেনু কিন্তু অনেক কম, অথচ অন্যধর্মের লোকদের কিন্তু সেটা নেই। তারা নানান প্রকার খাদ্য মেনু তৈরী করে নিয়েছে। ২০১২ সালে এক খবরে বের হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কলোরাডোতে এক নারী তার নিজের প্রস্রাব নিয়মতি পান করে থাকে। বিষয়টি নিয়ে সে যে খুব চিন্তিত তাও নয়, বরং গ্লাস নিয়ে টয়লেটে ঢুকে, এরপর ক্লাস ভর্তি করে ঘরে এসে টিভি দেখতে দেখতে বেশ আমোদ করেই খায়। (https://goo.gl/k2isKb)। তবে নিজেই নিজের প্রস্রাব খাওয়া নতুন কিছু নয়, ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই নিজেই প্রতিদিন নিজের প্রস্রাব খেতো এবং ফলাও করে প্রচার করতো। ১৯৭৮ সালে মার্কিন টেলিভিশন সিবিএস নিউজের সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘সিক্সটি মিনিটস’-য়ে মোরারজি এই কথা শুধু স্বীকারই করেনি, ইউরিন থেরাপির নানা ‘উপকারী’ দিকও তুলে ধরেছিলো এবং সবাইকে নিজ মূত্র খেতে উৎসাহিতও করেছিলো। আসলে ইসলাম ধর্মে নিয়ম কানুন বেশি, তাই চাইলেই একজন মুসলমান অনেক কিছু করতে পারে না। অন্যধর্মগুলো কিন্তু সে অসুবিধা নেই। এই তো বেশকিছুদিন যাবত ব্রিটেন ও চীনে বিক্রি হচ্ছে মানুষের বুকের দুধ। নারীরা বিভিন্ন দোকানে দোকানে গিয়ে দুধ বিক্রি করে আসছে, বিনিময়ে পাচ্ছে টাকা। আর সেই দুধ অন্য মানুষ ক্রয় করে খাচ্ছে, অনেকে আবার সেটা দিয়ে তৈরী করছে মজাদার আইসক্রিম। (http://goo.gl/6YKhed, http://goo.gl/dAPJ8l) আমি দেখেছি, মুসলমানরা অনেককিছু ঘ্রাণ শুকতেও চায় না। এই তো কিছুদিন আগে নিউইয়র্কের এক নারীকে দেখলাম অদ্ভূত অভ্যাস তার। বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে সে অপরিচ্ছন্ন শিশু ডায়পার সংগ্রহ করে। এরপর বাসায় এসে সেই ডায়পার গুলো নাকের ভেতর কিংবা মুখের ভেতর ঢুকিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নেয়। এই ঘ্রাণ তার কাছে খুবই প্রিয়। (http://goo.gl/ECPEXm) আমি আবার বলছি, ধর্ম মানুষকে নিয়ম কানুন শেখায়, যার ধর্ম নেই, তার কোন নিয়ম কানুনই নেই। এ বছরই কমিউনিস্ট চীনের গুয়াংডঙে এক ছেলেকে পাওয়া গেছে। ছেলেটি বিভিন্ন পাবলিক টয়লেটে টয়লেটে ঘুড়ে বেড়ায়। বিশেষ করে নারী পাবলিক টয়লেটগুলোতে তার আনাগোনা বেশি। পরে তদন্ত করে বের হয়, ঐ ছেলেটি নারীরা টয়লেট থেকে বের হলে সেখান থেকে স্টুল বা পায়খানা বের করে এবং গোগ্রাসে গলাধঃকরণ করে। (http://goo.gl/Vri03d) এতো গেলো মানুষের টয়লেট খাওয়ার কথা। কিছুদিন আগে মার্কিন টিভি চ্যানেলে কেলি নামক সুন্দরী তরুনী সাক্ষাৎকার দেয়। তরুনীর চেহারা দেখলে হয়ত আপনার পছন্দ হবে, কিন্তু তার আচরণটি নয়। তরুনী নিজ মুখেই স্বীকার করে সে গত ১০ বছর ধরে এক অদ্ভূত খাদ্যের প্রতি আসক্ত, খাদ্যটি হচ্ছে কুকুরের মল বা পায়খানা। সে সকালে যখন জগিং এ বের হয়, তখন বিভিন্ন পার্কে গাছের গোড়াগুলোয় খুঁজতে থাকে। যদি সেখানে কুকুরের মল পেয়েই যায়, তবে অতিসুন্দর করে টিস্যু পেপারে ভাজ করে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে খেয়ে নেয়। তার কুকুরের মল খাওয়া দেখলে কেউ বুঝতেই পারবে না, সে কি কুকুরের মল খাচ্ছে নাকি পেস্টি খাচ্ছে। (http://goo.gl/kw4EJZ) এজন্য আমার মনে হয়, মুসলমানদের ধর্মীয় বাধন বা আইনগুলো তাদের সবার থেকে পৃথক করে দিয়েছে। এদিক থেকে হিসেব করলে মুসলমানরা পৃথিবীতে পরাধীন জাতি আর বাকিরা সবাই সবাই স্বাধীন জাতি, এটাই সত্য। এত বড় লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728