Header Ads

ad728
  • Breaking News

    আইএস পরিচয়ে হুমকি দিয়ে হিন্দু ব্যক্তি আটক

    গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের বাগেরহাটে আইএস পরিচয় দিয়ে কলেজ শিক্ষক ও এনজিও কর্মকর্তাদের দেশত্যাগ ও শিরশ্ছেদের হুমকি দেওয়ায় গ্রেফতার হয়েছে অসিত বরণ দাস (৫৫) নামক এক হিন্দু ব্যক্তি। (http://goo.gl/TY9qui) আচ্ছা, ‍মুসলিম নাম ব্যবহার করে হিন্দুরা যে জঙ্গী হামলা করার হুমকি দেয়, এটা কি নতুন কিছু ? কখনই না। আসুন ভারতে এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা দেখি- ২০১৪ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ৪টি ঘটনা- ১) পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়কান্ড নিয়ে মিডিয়ায় মুসলিম বিদ্বেষ যখন দাউ দাউ করে জ্বলছে, ঠিক সেইসময় কোলকাতার রাজারহাটে জামাত-উল-মুজাহিদিনের নামে একটি পোষ্টার পড়ে। পোষ্টারে কোলকাতায় বোমা হামলা চালানোর হুমকি দেওয়া হয়। টিভি চ্যানেল এবং পত্র-পত্রিকাতে খবরটি গুরুত্ব সহকারে প্রচারও করা হয়। একদিকে খাগড়াগড় আর অন্যদিকে রাজারহাট মেগাসিটি ও কোলকাতা বিমানবন্দরের খুব কাছাকাছি হওয়ায় পুলিশও খুব তৎপরতার সাথে পোষ্টারের মালিককে খুঁজে বের করে। পোষ্টারটির মালিক ছিলেন- অমিয় সরকার। ২) ডিসেম্বর মাসের শুরুতে, উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে তিনটি মন্দিরের সামনে মোষের মাংস রেখে দেওয়া হয়। এর ফলে দাঙ্গা বিধ্বস্ত মুজাফফরনগরে নতুন করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উপক্রম দেখা দেয়। তদন্তের পরে পুলিশ ভিএইচপি’র কর্মী দেশরাজ সিংকে গ্রেপ্তার করে। নতুন করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু করতে ধৃত দেশরাজ সিং নিজে মন্দিরের সামনে মোষের মাংস রেখেছিলেন। ৩) ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে, সন্ত্রাসী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের পক্ষ থেকে রাজস্থানের ১৬জন মন্ত্রীর কাছে হুমকি ই-মেইল পাঠানো হয়। সেই ই-মেইলে বলা হয় যে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন দ্বারা রাজস্থানে তীব্র সিরিজ সন্ত্রাসী আক্রমন চালানো হবে। পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে । এফ আই আর করা হয় অজানা সন্ত্রাসী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নামে। অবশেষে রাজস্থান এটিএস, মেইল প্রণেতার আইপি অ্যাড্রেস ট্রাক করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নামে ই-মেইল প্রণেতা হলেন- সুশীল চৌধুরী। ৪) ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে, আবুল খান নামক জনৈক টুইট কর্তা টুইটারের মাধ্যমে ঘোষণা করেন যে বোমা বিস্ফোরণ করে পুরো ব্যাঙ্গালোর শহর উড়িয়ে দেওয়া হবে। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, আবুল খান নাম নিয়ে এক হিন্দু যুবক এই টুইটটি করেছেন। আশ্চর্য্যের বিষয়, অত্যাশ্চর্য্যের বিষয়, উপরের চারটি ঘটনায় ধৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়, কাউকেই আটক করে রাখা হয়নি। অষ্টম আশ্চর্য্যের বিষয়, ৩০ দিনের ভেতর ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে ঘটে যাওয়া চারটি ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে স্ব স্ব প্রশাসনের বিবৃতি হুবহু এক!!! প্রত্যেকের বিষয়েই বলা হয়- ধৃতরা মানসিক অবসাদ্গ্রস্থ এবং মানসিক রোগগ্রস্থ!!! References: 1) http://goo.gl/mhuuSk 2) http://goo.gl/3j7OUS 3) http://goo.gl/hsK941 কি বুঝলেন ??? মুসলমানদের ক্ষতি করতে হিন্দুরা বাশ নিয়ে রেডি, আর মুসলিমরা বসে বসে ধর্মনিরপেক্ষ সেজে পশ্চাৎদেশ এগিয়ে দেয় সেই বাশ খাওয়ার জন্য।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728