তারাপুর চা বাগান কি ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হলো ??
রাগীব আলী চা বাগান নিয়ে মহা অন্যায় করেছেন। কারণ তিনি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী। তিনি সেই টাকা দিয়ে স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-হাসপাতাল এরকম প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান বানিয়ে বাংলাদেশীদের উপকার করতেন, এটা তার মহা অন্যায়।
কিন্তু এখন তাহলে কাকে তারাপুর চা বাগান দেওয়া হলো ???
পঙ্কজ গুপ্ত নামক এক ব্যক্তির হাতে ?? পঙ্কজ গুপ্ত কে ???
পঙ্কজ গুপ্ত কিন্তু বাংলাদেশী নাগরিক নয়, সে একজন ভারতীয় নাগরিক। সে বি সি গুপ্ত পরিবারের সদস্য যে পরিবার আসামের চা ব্যবসায়ী। এদের কোম্পানির নাম B.C. Gupta And Sons Ltd
অর্থাৎ প্রায় ১৩০০ একর চা বাগানের অর্থ এখন আর বাংলাদেশে থাকবে না, চলে যাবে ভারতে। আর হ্যা, মন্দিরের খরচ ?? সেটা আর কত ? বছরে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকাই হবে।
কি বুঝলেন ?? আরো বুঝবেন ??
বিচারপতি এসকে সিনহা এক বছর আগে সিলেটে এক মন্দিরে গিয়ে বলে এসেছেন-
দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে কাজ চলছে (http://goo.gl/Io3xCV)।
স্থানীয় হিন্দুরা পঙ্কজ গুপ্ত সম্পর্কে কি বলছে --
হিন্দু আইন ও আদালতের নির্দেশনা মতে ডা. পংকজ কুমার গুপ্ত ওরফে শঙ্কর সেবায়েত হতে পারেন না। কারণ তিনি সেবায়েত হওয়ার কোনো যোগ্যতা রাখেননি। তিনি ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি সেবায়েতের দায়িত্ব পালন করেননি কোনোদিন। কোনো সেবা করা হয়ে উঠেনি তার। পূজা অর্চনার ধারকাছেও নেই তিনি।
রায়ের ১৭ নির্দেশনার ৬ নং নির্দেশনা ‘ই’-তে বলা হয়, ‘হিন্দু আইন অনুযায়ী সেবায়েত অফিস পরিচালিত হয়, কোনো স্ব ধর্ম বা নীতি পরিত্যাগকারী উত্তরাধীকার হওয়ার অযোগ্য এবং অফিসও তিনি পরিচালনার অধিকার রাখেন না’।
বিগ্রহকে ১৯৮৯ সালে বাগান থেকে যুগলটিলা মন্দিরে স্থানান্তরের পর ভক্তরা পূজা করে আসছেন। ওই দীর্ঘ সময় কোনো পূজা অর্চনা করেননি পঙ্কজ গুপ্ত। তিনি শুধু রাগীব আলীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। এ অবস্থায় তাকে সেবায়েত মানতে নারাজ হিন্দুরা। তারা বলেছেন, আদালতের নির্দেশ মতে যে প্রকৃত সেবায়েত তার কাছে বিগ্রহ হস্তান্তর করা যাবে। রাগীব আলীর কাছে দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রিকারী সেবায়েত হতে পারে না। সেবায়েত হতে হলে সেবা করতে হয়। তারা প্রশ্ন তুলেন, পঙ্কজ কুমার গুপ্ত কোন্ সেবা করেছেন, কাকে সেবা করেছেন ?
(http://goo.gl/R80bXr)
বিষয়টি স্পষ্ট-
সরকার এত তড়িঘড়ি করে চা-বাগানটি হস্থান্তর করলো
কারণ ভারতের তা পছন্দ হয়েছে।
আসলে বাংলাদেশ তো ভারতেরই অংশ, এখানে কোন সমস্যা দেখি না।
দরকার হলে পুরো বাংলাদেশটা নিয়ে যান, হাজার হোক বন্ধু বলে কথা।
No comments