Header Ads

ad728
  • Breaking News

    কেন আপনি তারাপুর চা বাগান উচ্ছেদের বিরোধীতা করবেন ?

    গত কয়েকদিন ধরে খবর আসছে, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা সিলেটের তারাপুর চা বাগান, রাগীব রাবেয়া মেডিকলে কলেজ, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৩০০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করার পক্ষে রায় দিয়েছে। এতে প্রশাসন নোটিশ দিয়ে এলাকাবাসীকে বলেছে- এলাকা ছেড়ে দ্রুত চলে যেতে, নয়ত গ্যাস পানি বিদ্যুৎ কয়েকদিনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখানে প্রায় ৪৪৪ একর বা ১৩৩২ বিঘা জমি হিন্দুদের দিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে হিন্দুরা দেবতার মূর্তি স্থাপন করবে। আসলে বাংলাদেশের মুসলমানদের একটি ইতিহাস জানা প্রয়োজন। এই বাংলার প্রায় সব জমির মালিক কিন্তু এক সময় মুসলমানরা ছিলো। কিন্তু ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ লর্ড কর্নওয়ালিশ ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ আইন পাশ করে মুসলমানদের থেকে জমি কেড়ে নিয়ে হিন্দুুদের দিয়ে দেয়। ফলে এক সময়কার সম্ভ্রান্ত মুসলমানরা পথে বসে যায় এবং কর্মচারি হিন্দুরা জমিদার বনে যায়। ফলে হঠাৎ দরিদ্র হওয়া মুসলমান তাদের কর্মচারি হিন্দুদের অধিনে চাকুরী করতে বাধ্য হয়। বর্তমানে বাংলাদেশেও কিন্তু একই ধরনের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইন পাশ হয়েছে। ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন’ ও ‘দেবোত্তর সম্পত্তি আইন’ হচ্ছে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের বর্তমান সংষ্করণ। বলাবাহুল্য কোন স্বাধীন দেশ এ ধরনের আত্মঘাতি আইন কখনই পাশ করে না। যুদ্ধ বা দেশ ভাগ হলে কেউ পুরনায় তার জমি ফিরে পায় না। খোদ ভারতেই এ ধরনের আইন নেই। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কেন এ ধরনের আত্মঘাতি আইন পাশ করলো তা সত্যিই বিষ্ময়কর। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে চাপ দিয়েছিলেন এই অর্পিত সম্পত্তি (শত্রু সম্পত্তি প্রত্যার্পন) আইন পাশ করতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে ভুল করেননি। কিন্তু আওয়ামী সরকার ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ও ২০১৩ সালে দেবোত্তর সম্পত্তি আইন দুটো পাশ করে। এই আইনের অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশকে মুসলমানদের থেকে কেড়ে নিয়ে হিন্দুদের হাতে দিয়ে দেওয়া। এই আইন অনুযায়ী হিন্দুরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৮ লক্ষ বিঘা (বাংলাদেশের প্রায় এক চতুুর্থাংশ) দাবি করেছে এবং সেখান থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করে দখল করার সমস্ত মামলা-মোকাদ্দমাও সম্পন্ন করেছে। শুধু এটুকুই নয়, ভারত থেকেও অনেক হিন্দু (যেমন-নচিকেতা, পাউলী দাম, পার্বতী বাউল, কালী প্রদীপ চৌধুরী) এসে দাবি করছে অমুক অমুক এলাকা তাদের। এ আইন অনুসারে সেখান থেকেও মুসলিম উচ্ছেদ করে ভারতীয়রা নিতে যেতে পারবে। বর্তমানে রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, তারপুর চা বাগানের যে ১৩৩২ বিঘা জমি মুসলমানদের থেকে কেড়ে হিন্দুদের দেওয়ার কার্যক্রম চলছে, এটাও সেই আত্মঘাতি আইনের ফসল। এটা আপনাকে মানতেই হবে সরকার যখন ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি আইন এবং ২০১৩ সালে দেবোত্তর সম্পত্তি আইন পাশ করে, তখন আপনি তার বিরোধীতা করেননি। উচিত ছিলো তখনই এ ধরনের আত্মঘাতি আইনের বিরোধীতা করা। কিন্তু সে সময় বিরোধীতা না করায় ইতিমধ্যে মুসলিম উচ্ছেদ শুরু হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মত পুরো বাংলাদেশকে হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। যেহেতু তারাপুর চা বাগানের ঘটনা উচ্ছেদের কেবল শুরু, তাই শুরুতেই এর প্রতিবাদ করা উচিত । মনে রাখবেন- আপনি যদি আজকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করেন, তবে অদূর ভবিষ্যতে আপনার জমিও যে হিন্দুরা কেড়ে নেবে না, সেটা কিন্তু আপনি বলতে পারেন না। আপনাকে বলতে হবে-- “বাংলাদেশে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না।” “ মুসলিম উচ্ছেদ করে হিন্দুদের জমি দেওয়া চলবে না।” “ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ও দেবোত্তর সম্পত্তি আইন বাতিল করুন।” “তারাপুরে মুসলিম উচ্ছেদ চলবে না।” “রাগীব-রাবেয়া’ মেডিকেল কলেজ ভাঙ্গা চলবে না” “১টি মন্দিরের জন্য ৩০০০ হাজার পরিবারকে উচ্ছেদ করা যাবে না” “তারাপুরে একাধিক মসজিদ, স্কুল, কলেজ, ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করো” পড়তে পারেন- ১) তারাপুরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে (http://goo.gl/gsFa5e) ২) রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নাম রাধা গোবিন্দ’র নামে নামকরণের দাবি হিন্দুদের (http://goo.gl/3irCt0) ৩) তারাপুরবাসীর বসতভিটা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষার অধিবাসীদের আকুতি (http://goo.gl/gC23oN) ৪) তারাপুরের জমি নিয়ে সনাতন-ইসকন টানাটানি -http://goo.gl/OcxpYJ

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728