Header Ads

ad728
  • Breaking News

    পিনকীয়-১: ইতিহাস বলে যুগে যুগে পিনাকীদের ধোঁকায় মুসলমানদের পরাজয় ঘটেছে

    ইতিহাস বলে, সম্মুখ যুদ্ধে শত্রু পক্ষ মুসলমানদের যত না ক্ষতি করতে পেরেছে তার থেকে ঢের ক্ষতি করেছে পেছন থেকে। যুগে যুগে এই পিনাকীরা অসাম্প্রদায়িকতার বুলি আউড়িয়ে মুসলমানদের হাত-পা বেধে রাখতো, আর এই সুযোগে তার সহযোগীরাই মুসলমানদের পুটু মেরে যেতো। কিছুক্ষণ আগে পিনাকী তার স্ট্যাটাসের শুরুতেই বলেছে- “এই ভূখণ্ডে দীর্ঘকাল থেকেই হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ অবিশ্বাস আর রক্তাক্ত সংঘাতের ইতিহাস আছে। ......এখন এই ইতিহাস খোঁচাখুচি করলে কি আমরা সামনে এগুতে পারবো? নাকি অতীত ইতিহাসের শিক্ষা নিয়ে সামনের দিনগুলো তৈরি করবো?” অতীত ইতিহাস নিয়ে খোচাখুচি নয়, বরং অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার পক্ষপাতি আমিও। হিন্দুরা যে জাতিগত বেঈমান এবং তাদের বেঈমানি যে কখনই চেঞ্জ হয় না, এই শিক্ষা কি অতীত থেকে নেওয়া যায় না? ইতিহাসে পিনাকীরা একবার আসে না, বার বার আসে, ভিন্ন ভিন্ন নামে আসে। যেমন ধরুন- ১) কংগ্রেসের জহরলাল নেহেরু। দাবি করা হতো কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ । অথচ ১৯৪৭ সালে দেশভাগের মাত্র ১ বছর পর ১৯৪৮ সালে নেহেরুই ভারতীয় বাহিনীকে আদেশ দিলো হায়দ্রাবাদে গণহত্যা চালাতে। অপরাধ- একটি হিন্দু প্রধান রাষ্ট্রের ভেতর এতটি মুসলিম নিজাম শাসিত এলাকা থাকতে পারে না। হত্যা করা হলো ১০ লক্ষ মুসলমানকে। নেহেরু কিন্তু সারা জীবন ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করতো, কিন্তু হায়দ্রাবাদ গনহত্যার সময় তার ধর্মনিরপেক্ষতা গেলো কোথায় ? (http://www.muldharabd.com/?p=164) ২) আজকে পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দপাধ্যায় যে মুসলিম তোষণ করে, সে কি জন্য ? অবশ্যই মুসলিম ভোট পাওয়ার জন্য, কারণ পশ্চিমবঙ্গের একটি বিরাট জনগোষ্ঠী মুসলমান। অথচ ২০০২ সালে গুজরাট গণহত্যার সময় মোদিকেই সাপোর্ট দিয়েছিলো মমতা বন্দপাধ্যায়। ৩) মোহন দাস করম চাদ গান্ধী। বিশিষ্ট সেক্যুলার। ঐ সময় গান্ধীকে নেতা বানিয়েছিলো মুসলিম জনগোষ্ঠীগুলোই। ইতিহাস বলে, এই গান্ধী মুসলমানদের যে ক্ষতি করেছে তা সকল হিন্দু মিলেও করতে পারেনি। গান্ধী ঐ সময় সকল মুসলিম নেতাদেরকে ভুলিয়ে তাদের সাপোর্ট নেয় দেশভাগে ভারতে থাকা জন্য। গান্ধীর কথা শুনে ঐ সময় মুসলিম নেতারা ভারতে থাকার ঘোষণা দেয়। ফলে ভারত বড় হয়, পাকিস্তান ছোট হয়। মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলো ঢুকে যায় ভারতের মধ্যে। বর্তমানে ভারতে যে মুসলিম নির্যাতন চলছে তার জন্য দায়ী গান্ধীর কথায় মুসলমানদের সেক্যুলার সাজা। বলাবাহুল্য মুসলমানদের সেক্যুলার বানিয়ে রাখলেও গান্ধী কিন্তু সেক্যুলার হয়নি। সে কিন্তু ঠিকই গরু জবাইয়ের বিরোধীতা করতো। অর্থাৎ ইতিহাস বলে, হিন্দুরা যতই অসাম্প্রদায়িকতা দেখাক- তার হিন্দুত্ববাদ কিন্তু দূর হয় না। সে উপর দিয়ে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে মুসলমানদের আটকে রাখে, আর সেই সুযোগ অপর হিন্দুরা মুসলমানদের ছুরি মারে। বর্তমানে পিনাকী একই কাজ করছে। বলছে- “মুসলমানরা তোমরা সাম্প্রদায়িক হয়ো না। আসো আমরা হিন্দু-মুসলিম এক সাথে থাকি।” কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের হিন্দুরা কি তা চায় ? বাংলাদেশের হিন্দুরা তো তা চায় না, তারা চায় মুসলমানদের দমিয়ে ভারতের শাসন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করতে। এটা তারা সহজে করতে পারবে, যদি মুসলমানরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। আর অসাম্প্রদায়িকতার বুলি আউড়িয়ে সেই কাজটি করছে পিনাকীরা। পিনাকী একটি কথা বলেছে, যার স্বারমর্ম হচ্ছে - ‘ভারত-বাংলাদেশের বর্তমান নীতির বিরোধীতা করা যায়, কিন্তু হিন্দুদের বিরোধীতা করা ঠিক নয়।’ মজার ব্যাপার হলো, তার কমেন্টবক্সে দেখলাম, চট্টগ্রাম ও সিলেটের দুটি ইসলামী দলের দুইজন উপরের লেভেলের নেতা সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু আমি যতদূর জানি- মুসলমাদের ধর্মীয় গ্রন্থে হিন্দুদের (মূর্তি পূজকদের) বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। বলা হয়নি- ভারতের বিরোধীতা করতে হবে, কিন্তু হিন্দুদের বিরোধীতা করা যাবে না। নিজেদের ধর্মগ্রন্থে এত স্পষ্ট বক্তব্য থাকার পরও কিভাবে কয়েকজন ইসলামী দলের ব্যক্তি পিনাকীর পোস্ট সমর্থন করলো তা আমার বুঝে আসে না। (চলবে)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728