বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে মুসলমানদের করণীয়

যত কথাই বলি, শেষে এসে একটা কথাই পরিষ্কার করে বলতে হবে- বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে সকল মুসলমানকে এক হতে হবে। একত্র হওয়া ছাড়া মুসলমানদের সামনে আর কোন অপশন খালি নাই।

কোন মুসলমানের গায়ে যদি আঘাত করা হয়,
কোন মুসলমানকে যদি নিগৃহিত করা হয়,
কোন মুসলমানকে যদি গৃহহীন করা হয়,
কোন মুসলমানকে যদি নিপীড়ন করা হয়,
কোন মুসলমানকে যদি হত্যা করা হয়,

তবে সারা বিশ্বের সকল মুসলমানকে একযোগে প্রতিবাদ করতে হবে । সবাইকে এক সাথে বলতে হবে- “ও আমার ভাই, ওকে তোমরা মেরো না। যদি কোন মুসলমানকে কষ্ট দেওয়া হয়, তবে আমি তোমারদের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করবো।”

হ্যা এটাই আমি বলছি-
মুসলমানের জন্য মুসলমানের ভালোবাসা বাড়াতে হবে। মুসলমান কষ্ট পেলে মুসলমানকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই কষ্টের সমাধান করতে হবে। ভাতৃত্ববোধ প্রদর্শন করতে হবে। “আগে আমার ভাই, তারপর অন্য কেউ” এই নীতিতে ফেরত আসতে হবে। সেক্যুগিরি ঝেড়ে ফেলতে হবে।
আগে চাকুরী দেবো মুসলমানকে,
আগে বাজার করবো মুসলমান দোকান থেকে
আগে সুবিধা দেবো মুসলমানকে।
মুসলিম দেশে ইনভেস্ট করবো,
মুসলিমদের কষ্ট সহায়তায় এগিয়ে আসবো।
মুসলমানের জন্য মায়া করবো, মুসলমানের কষ্টে কষ্ট পাবো, মুসলমান বিরোধীতায় প্রতিবাদ করবো

আমি দেখি অনেক মুসলমানরা অুমসলিম দেশে, তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে সাহায্য সহযোগীতা করে।
কিন্তু এরা চোখে দেখে না রোগিঙ্গা মুসলমানদের,
এরা চোখে দেখে না সিরীয় মুসলমানদের,
এরা চোখে দেখে না সোমালিয়ার মুসলমানদের।

আমি জানি, অনেকে হয়ত বলবেন-
অমুক দেশ অনেক বড়লোক, তমুক লোক অনেক প্রভাবশালী, সে করে না।
আমি বলবো- আপনি দয়া করে তার দিকে তাকাবেন না। আপনি নিজের দিকে তাকান।
আপনি নিজে আগে মুসলিম-মুসলিম রেষারেষি বন্ধ করুন। আপনি নিজে আগে মুসলমানের যে কোন সমস্যা এগিয়ে আসুন,
কোন মুসলমান সমস্যায় আক্রান্ত হলে সাথে সাথে তার প্রতিবাদ করুন। তার জন্য অন্তত দুই লাইনের ১টা স্ট্যাটাস হলেও দিন, তার জন্য ১ টাকা হলেও সাহায্য করুন। তার পক্ষে একটু হলেও বিরোধীদের সাথে ফাইট করুন।

মুসলিম-মুসলিম ভাতৃত্ব, এটা আগে নিজে শুরু করুন। দেখবেন, এক সময় সারা পৃথিবী মুসলমানদের মধ্যে তা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে গেছে।