আওয়ামীলীগ, সৈয়দ আশরাফ ও ওবায়দুল কাদের কথন.....
চলছে আওয়ামী লীগের ২০ তম সম্মেলন
অনেক আলোকসজ্জা, অনেক খাওয়া-দাওয়া
উপর দিয়ে মনে হতে পারে মনে সাংগঠনিকভাবে ঐ আলোকসজ্জার মত উজ্জল হচ্ছে দলটি ।
কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো, চলছে আওয়ামী-আওয়ামী দ্বন্দ্ব।
চলছে আমেরিকা+ভারতের সাথে চীন+রুশপন্থীদের লড়াই
মার্কিন+ভারতপন্থী নেতাদের চাপে চীন+রুশপন্থী নেতারা এখন আওয়ামীলীগে কোনঠাসা
যেমন মার্কিন+ভারতপন্থী ওবায়দুল কাদের নিয়ে নিচ্ছে চীনপন্থী আশরাফের সিট।
ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের মধ্যে দু’দল হয়ে গেছে
একদল আশরাফকে সম্পাদক পদে রাখার পক্ষে, অন্যদল আশরাফকে বের করে মার্কিন+ভারত ব্লকের ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে। আশরাফের পক্ষ শেখ রেহানা রাগ করে সম্মেলনে আসেনি (রেহানার মেয়ে ব্রিটেনের সমাজবাদী লেবার পার্টি করে) ।
অনেক আলোকসজ্জা, অনেক খাওয়া-দাওয়া
উপর দিয়ে মনে হতে পারে মনে সাংগঠনিকভাবে ঐ আলোকসজ্জার মত উজ্জল হচ্ছে দলটি ।
কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো, চলছে আওয়ামী-আওয়ামী দ্বন্দ্ব।
চলছে আমেরিকা+ভারতের সাথে চীন+রুশপন্থীদের লড়াই
মার্কিন+ভারতপন্থী নেতাদের চাপে চীন+রুশপন্থী নেতারা এখন আওয়ামীলীগে কোনঠাসা
যেমন মার্কিন+ভারতপন্থী ওবায়দুল কাদের নিয়ে নিচ্ছে চীনপন্থী আশরাফের সিট।
ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের মধ্যে দু’দল হয়ে গেছে
একদল আশরাফকে সম্পাদক পদে রাখার পক্ষে, অন্যদল আশরাফকে বের করে মার্কিন+ভারত ব্লকের ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে। আশরাফের পক্ষ শেখ রেহানা রাগ করে সম্মেলনে আসেনি (রেহানার মেয়ে ব্রিটেনের সমাজবাদী লেবার পার্টি করে) ।
ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশ নিয়ে চীন ও ভারতের (আড়ালে আমেরিকা রয়েছে) মধ্যে একটা টানাটানি হয়েছে। কিন্তু এবার যেটা হচ্ছে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। যদি এটা হয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ভারত+আমেরিকার দখলে চলে আসবে।
কিছুদিন আগে আশরাফ কিন্তু ভবিষ্যত সম্পর্কে পুরোপুরি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলেছেন- ৭৫ এর মত ঘটনা ঘটতে পারে। এর দ্বারা যেটা তিনি সম্ভবত আওয়ামীলীগকে আমেরিকা (সাথে ভারত) গ্রাস করে নেবে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর আগেও আশরাফ জাসদকে বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য দায়ী করেছে। এটা না যতটা ঐতিহাসিক শত্রুতা, তার থেবে বড় হচ্ছে বর্তমানে জাসদের ইনুর অবস্থা। কারণ বর্তমানে ইনুকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে আমেরিকান ব্লক থেকে। বর্তমানে আওয়ামী সরকারের চার প্রভাবশালী মন্ত্রী (ইনু, মুহিত, নাহিদ ও ওবায়দুল কাদের) ও চীফ জাস্টিস মার্কিন+ভারত ব্লক থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
কিছুদিন আগে আশরাফ কিন্তু ভবিষ্যত সম্পর্কে পুরোপুরি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বলেছেন- ৭৫ এর মত ঘটনা ঘটতে পারে। এর দ্বারা যেটা তিনি সম্ভবত আওয়ামীলীগকে আমেরিকা (সাথে ভারত) গ্রাস করে নেবে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর আগেও আশরাফ জাসদকে বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য দায়ী করেছে। এটা না যতটা ঐতিহাসিক শত্রুতা, তার থেবে বড় হচ্ছে বর্তমানে জাসদের ইনুর অবস্থা। কারণ বর্তমানে ইনুকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে আমেরিকান ব্লক থেকে। বর্তমানে আওয়ামী সরকারের চার প্রভাবশালী মন্ত্রী (ইনু, মুহিত, নাহিদ ও ওবায়দুল কাদের) ও চীফ জাস্টিস মার্কিন+ভারত ব্লক থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
এটা জেনে রাখা দরকার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কখনই আমেরিকানপন্থী কোন দল ছিলো না। শুরুতে রুশপন্থী ছিলো এবং সাথে চীনেরও প্রভাব ছিলো যথেষ্ট। তবে আওয়ামীলীগ শুরু থেকেই ভারতের সাথে সম্পর্ক ভালো রেখেছে এটা ঠিক, কিন্তু সেটা পুরোপুরি ভারত বললেও ভুল হবে, বরং বলতে হবে রুশপন্থী কংগ্রেসের সাথে।
যাই হোক, বর্তমানে ভারতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপির মোদি, যে ১০০% মার্কিন চামচা। ২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সাথে ভেতরে ভেতরে আওয়ামীলীগের সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিলো না। আওয়ামীলীগের তখন সম্পর্ক ডেভেলপ হয় চীনের সাথে। আর চীনের সাথে সম্পর্ক ডেভেলপ করার অন্যতম নায়ক সৈয়দ আশরাফ। কিন্তু ২০১৫ এর পর থেকে আওয়ামীলীগের মধ্যে বিজেপি তথা মার্কিনপন্থীদের প্রভাব ব্যাপক বিস্তার করে এবং আওয়ামীলীগ অনেকটাই মার্কিন ব্লকের দিকে ঝুকে যায়। সম্প্রতি চীনের ২৪ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টের পর চীনের সাথে আওয়ামীলীগের সম্পর্ক পুনরায় দৃঢ় হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে আশরাফকে সরিয়ে ওবায়দুল কাদেরের মত মার্কিনপন্থী লোককে দেয়ার মানে আওয়ামীলীগের উপর খুব দৃঢ়ভাবেই ভারত+আমেরিকা ব্লকের চাপ বিদ্যামান। যদি আশরাফকে সরিয়ে ওবায়দুলকে দেয়াই হয়, তবে আওয়ামীলীগের মধ্যে একটা ঐতিহাসিক ভাঙ্গন ধরার সম্ভবনা আছে। কারণ এতে রুশ+চীনাপন্থীদের সাথে ভারত+মার্কিনপন্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্বটা চরমে উঠবে।
যাই হোক, বর্তমানে ভারতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপির মোদি, যে ১০০% মার্কিন চামচা। ২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সাথে ভেতরে ভেতরে আওয়ামীলীগের সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিলো না। আওয়ামীলীগের তখন সম্পর্ক ডেভেলপ হয় চীনের সাথে। আর চীনের সাথে সম্পর্ক ডেভেলপ করার অন্যতম নায়ক সৈয়দ আশরাফ। কিন্তু ২০১৫ এর পর থেকে আওয়ামীলীগের মধ্যে বিজেপি তথা মার্কিনপন্থীদের প্রভাব ব্যাপক বিস্তার করে এবং আওয়ামীলীগ অনেকটাই মার্কিন ব্লকের দিকে ঝুকে যায়। সম্প্রতি চীনের ২৪ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টের পর চীনের সাথে আওয়ামীলীগের সম্পর্ক পুনরায় দৃঢ় হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে আশরাফকে সরিয়ে ওবায়দুল কাদেরের মত মার্কিনপন্থী লোককে দেয়ার মানে আওয়ামীলীগের উপর খুব দৃঢ়ভাবেই ভারত+আমেরিকা ব্লকের চাপ বিদ্যামান। যদি আশরাফকে সরিয়ে ওবায়দুলকে দেয়াই হয়, তবে আওয়ামীলীগের মধ্যে একটা ঐতিহাসিক ভাঙ্গন ধরার সম্ভবনা আছে। কারণ এতে রুশ+চীনাপন্থীদের সাথে ভারত+মার্কিনপন্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্বটা চরমে উঠবে।
আপনাদের মনে আছে কি না জানিনা আজ থেকে ৪ মাস আগে এক স্ট্যাটাসে (http://www.noyonchatterjee.com/2016/06/blog-post_70.html) আমি এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলাম। লেখাটির হেডিং ছিলো- “ফের মাইনাস- টু’র পথে দেশ”। যার সারমর্ম ১/১১ এর সময় আমেরিকার টার্গেট ছিলো মাইনাস টু করে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে সরিয়ে দিয়ে গোড়া মার্কিনপন্থী ইউনুসকে বসানো। কিন্তু সে সময় সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। কারণ তখন মার্কিন ষড়যন্ত্রে বাধা ছিলো ভারতের কংগ্রেস সরকার। কিন্তু বর্তমানে আর সেই সুযোগ নেই। কারণ ভারতের ক্ষমতায় এখন আমেরিকাপন্থী বিজেপি। তাই নতুন করে মাইনাস টু শুরু করবে তারা। এবার নতুন পদ্ধতিতে হয় আওয়ামীলীগের মধ্যেই গণ্ডগোল বাধাবে। আর এবারও কুশিলব মাইনাসটুবাদী (+ কচিমালপ্রেমী) ওবায়দুল কাদের। দেখা যাক তবে কি হয়।
No comments