মুসলমান দেশের সুপ্রীম কোর্টের সামনে প্রাচীন গ্রিক দেবীর মূর্তি কেন ?
খবরে এসেছে বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট ভবনের সামনে গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে। আদি রোমানরা নাকি গ্রিক মিথ এর কথিত দেবী জাস্টিসিয়াকে বিচারের প্রতীক হিসেবে মনে করতো। (http://bit.ly/2h5zapT)
প্রাচীন রোমে বিচার বা সামাজিক ব্যবস্থা কেমন ছিলো সেটা মনে করতে আমার গ্লাডিয়েটর মুভির কথা মনে আসে, যেখানে দাসদের আটকে রেখে হিংস্র পশুর সাথে যুদ্ধ করতে দেওয়া হতো, আর সেই জঘন্য দৃশ্য দেখে মজা নিতো সম্রাট ও সাধারণ জনগন।
আসলে আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজ সব সময় আধুনিক জিনিস খোজেঁন। কোন কিছুতে ১৪০০ বছর আগের ইসলামের গন্ধ পেলেই ব্যাকডেটেট বলে নাক শিটকান। অথচ ৫০০০ বছর আগে বর্বর রোমানরা কি কল্পকাহিনী বিশ্বাস করতো, সেটাকে একেবারে সুপ্রীম কোর্টের নাকের ডগাতে বসাচ্ছেন কোন আধুনিকতার বলে সেটা আমার মাথায় আসছে না।
যাই হোক, আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা এখনও অনেক সেকেলে অন্ধকারে আছে। আড়াইশ’ বছর আগে ব্রিটিশ জলদস্যুরা যে কুসঙ্কারাচ্ছন্ন আইন শিখিয়ে দিয়ে গেছে সেটাই এখন মুর্খের মত ফলো করে যাচ্ছে উকিল-জাস্টিসরা। এখনও প্রধান বিচারক মাথায় উলের টুপি পড়ে মা-ভেড়া সেজে থাকে, দাবি করে- সে মা ভেড়া তার সামনে সবাই সমান। এখনও উকিলরা জাস্টিসদের দেখলে ব্রিটিশ নিয়মে ‘মাই লর্ড’ ‘মাই লর্ড’ (আমার প্রভু, আমার প্রভু) করে। মুসলিম উকিলরা বিচারকের সামনে মাথা ঝুকিয়ে নত করে, আবার একটু পরে মসজিদে গিয়ে মাথা নত করে। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এতটাই অন্ধ অনুকরণপ্রিয় যে, ব্রিটেনে তীব্র শীত পরার কারণে উকিল-জাস্টিসরা কোর্ট, গাউন পরে থাকে। আর বাংলাদেশে সেই অণুকরণে গরমকালে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে শত শত লোকের মধ্যে ভ্যাপসা আবহাওয়ায় উকিল-জাস্টিসরা কোর্ট-গাউন পরে থাকে। দরদর করে ঘামতে থাকে, কিন্তু ব্রিটেনের অন্ধ অনুকরণ বলে কথা। আরো দুঃখের কথা- ভাষা আন্দোলনের প্রায় ৬৫ বছর হয়ে গেছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৪৫ বছর, কিন্তু এখনও বিচারবিভাগ সেই ব্রিটিশ ভাষা থেকে বের হতে পারলো না। এখনও সুপ্রীম কোর্টে বাংলা ভাষা সম্পূর্ণ অচল।
কথাগুলো এ কারণে বললাম- সবাই যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা যেন আরো উল্টো পথে হাটছে। এতদিন ২৫০ বছর আগের ব্রিটিশ জলদস্যুদের ফলো করতো, আর এখন আরো পিছিয়ে গিয়ে ৫০০০ বছর আগে রোমান বর্বরদের কাল্পনিক বিষয় ঘেটে সুপ্রীম কোর্টের নাকের ডগায় বসাচ্ছে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের বিচারবিভাগের এমন হটকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার উচিত, এবং কোন স্থাপনা যদি নির্মাণ করতেই হয়, তবে যেন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও জাতীয় অনুভূতির সাথে অবস্থান মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সেটাই আশা করবো।
------------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments