বুদ্ধিজীবি শামসুজ্জামান খানকে সরিয়ে দিতে নাস্তিক ও মিডিয়া গং একযোগে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

আমার কাছে একটি বই আছে- বইটির নাম- বাংলা মুসলিম গ্রন্থপঞ্জী। বইটির সংকলক- আলী আহমদ। ১৯৮৫ সালে বাংলা একাডেমীর পক্ষ হতে তৎকালীন পরিচালক শামসুজ্জামান খান প্রকাশক হয়ে বইটি ছাপায়। বইটিতে ১৬২৪ জন মুসলিম বাংলাভাষী লেখক, সাহিত্যিক ও কবির ৪১৭৩টি গ্রন্থের নাম, বিবরণী, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান প্রকাশ করা হয়।

হঠাৎ এই গবেষণামূলক গ্রন্থের নাম প্রকাশ করলাম এই কারণে, আপনারা জানেন নাস্তিকগোষ্ঠী বর্তমানে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে লেগেছে। তিনি আইনত কাজ করেছেন বলে বেআইনী নাস্তিক সন্ত্রাসীরা তার পদত্যাগ চাইছে, তার মত একজন বিরাট মাপের বুদ্ধিজীবিকে যাচ্ছেতাই বলে গালাগালি করে মানহানী করছে।

শামসুজ্জামান খানের মত এত ট্যালেন্ট একজন বাংলা একাডেমীতে ছিলেন বলে এ ধরনের অসংখ্য গবেষণামূলক গ্রন্থ সাধারণ মানুষ পেয়েছে। সাধারণ মানুষ ১৬২৪ জন বাংলাভাষী মুসলিম লেখক, কবি বা সাহিত্যিকের নাম তো ‍দূরের কথা ১৬ জন মুসলিম লেখকের নামও বলতে পারবে না, সেখানে এ ধরনের গবেষণামূলক গ্রন্থ বের হওয়ায় অনেক লুকায়িত ইতিহাস উন্মোচিত হয়েছে।

সত্যিই অবাক লাগে, যখন দেখি, বিবিসির মত বিদেশী শকুনী চ্যানেলগুলো বুদ্ধিজীবি শামসুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষাৎকার দিতে নিয়ে আসে মারুফ রাসূল বা রেজা ঘটকের মত শাহবাগী গাঞ্জুট্টিদের, সামান্য টাকার লোভে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আসিফ মহিউদ্দিন তার বানান ভুল ধরে (অভ্রতে লিখতে ভুল হতেই পারে, ৭৭ বছর বয়ষী একজন মানুষ নিশ্চয়ই খুব বেশি ডিজিটাল হবেন না), রাজাকার ত্রিদিব রায়ের ভাতিজি খুশি কবিররা শামসুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। যদি একবার শামসুজ্জামান খানকে সরিয়ে তাদের প্যানেলের কাউকে ঢুকানো যায়, তবে ‘মুসলিম বাংলা গ্রন্থপঞ্জী’র বদলে- ‘নাস্তিক বাংলা গ্রন্থপঞ্জী’ বের করা যাবে।

বর্তমান নাস্তিক সমাজের ভাব নির্ভর করে গাঞ্জার পুরিয়ার উপর। দু’একটা স্ট্যাটাস মেরে নিজেকে খুব জ্ঞানী ভাবে। কিন্তু গবেষণা কি জিনিস, সেটা তাদের দুই পয়সার ঘেলুর মধ্যে নেই। শামসুজ্জামান খান প্রকৃতঅর্থেই একজন বড় মাপের গবেষক ও বুদ্ধিজীবি। একটি দেশের সাহিত্য ও ভাষাকে কি দিতে হয় সেটা এই অভিজ্ঞ ব্যক্তির ভালোই জানা আছে। বর্তমান নাস্তিককুল সব এক হলেও শামসুজ্জামান খানের একটা পায়ের নখের যোগ্যতাও অর্জন করতে পারবে না। কিন্তু যেহেতু রিয়েল বুদ্ধিজীবিদের খাঃপোঃ মিডিয়া দাম দেয় না, দেয় জাফর ইকবার বা হুমায়ুন আজাদের মত নকলবাজদের, তাই শামসুজ্জামান খানকে সরিয়ে দিতেই নাস্তিক ও মিডিয়া গং একযোগে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ।

সকল মুসলমানদের উচিত শামসুজ্জামান খানের পক্ষে স্ট্যাটাস দেয়া। আর বুদ্ধিজীবি শামসুজ্জামান খান সাহেবের উচিত হবে উনার ফেসবুক আইডির (https://www.facebook.com/100008686780556) কমেন্ট সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া। তখন দেখা যাবে কত শত-সহস্র মানুষ উনার পক্ষে আছে। যেহেতু ফেসবুক কমেন্ট শুধু ফ্রেন্ড করা তাই সকল মুসলমান উনার পক্ষে কমেন্ট করতে পারছে না, এতে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না, কত বিরাট জনগোষ্ঠী উনার পক্ষে এবং নাস্তিকগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র ও সামান্য।

------------------------------------------------------

--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।

--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)