Header Ads

ad728
  • Breaking News

    শ্রাবণ প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে একদল ভুয়া আইনজীবি মিথ্যা তত্ত্ব ছড়াচ্ছে।



    শ্রাবণ প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে একদল ভুয়া আইনজীবি ‘দশ চক্রে ভগবান ভুত’ বানিয়ে মিথ্যা তত্ত্ব ছড়াচ্ছে। যেমন-
    প্রথমত বলছে- “বাংলা একাডেমী কোন প্রকাশনাকে নিষিদ্ধ করতে পারে না।”
    এর উত্তর- বাংলা একাডেমী কোন প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ করেনি এবং সেই ক্ষমতাও তার নেই। কিন্তু একুশে বইমেলায় কাকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হবে, সেই ক্ষমতা কিন্তু বাংলা একাডেমীর আছে। বাংলা একাডেমী শ্রাবণ প্রকাশনীকে দুই বছরের জন্য স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করেনি।

    দ্বিতীয়ত বলছে- “বাংলা একাডেমী বেআইনী ভাবে স্টল বরাদ্দ বাতিল করেছে”।
    এটাও ভুল ও মিথ্যা। বাংলা একাডেমী মোটেও আইন লঙ্ঘন করেনি। বরং ঐ গোষ্ঠীটি আইন লঙ্ঘণকারীদের পক্ষ নিয়ে নিজেরাও আইন লঙ্ঘনকারী হয়েছে। যেমন- “বাংলা একাডেমীর বইমেলা নীতিমালার ১৩ এর ১৩ অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে- অশ্লীল ও রুচিগর্হিত বই প্রকাশ করলে স্টল বরাদ্দ বাতিল করা হবে। সেই সঙ্গে আর কোনো সময় সেই স্টলকে বরাদ্দ দেওয়া হবে না।” এই আইন অনুসারে স্টল হারিয়েছে রোদেলা প্রকাশনী এবং পরবর্তীতে ব-দ্বীপ প্রকাশনী। এছাড়া জাতীয় আইন পেনাল কোডের ২৯৮ ধারা মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে রোদেলা প্রকাশনী ও শ্রাবণ প্রকাশনী। সে হিসেবে তারা প্রকাশ্য অপরাধী এবং অবশ্যই অপরাধীর পক্ষে বলে নিজেও অপরাধী হয়েছে শ্রাবণ প্রকাশনী।
    তৃতীয়ত বলছে-
    “রবিন আহসান ব্যক্তিগতভাবে বাংলা একাডেমীর আইনের বিরুদ্ধচারণ করেছে, এক্ষেত্রে তার প্রকাশনা দায়ী হতে পারে না। ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠান নিতে পারে না।”
    অথচ, রবিন আহসান যখন টিএসসিতে প্রতিবাদের জন্য দাড়ায় তখন কিন্তু প্রকাশকদের ব্যানারেই দাড়ায়, অন্তত ছবি তাই বলে। তাই অযথাই আইনের ফাঁক ফোকড় তৈরী করে রবীন আহসানকে সাধু বানানোর মানেটা কি ? যারা চোর-চ্ছ্যাচ্চর তারা এ সব ফাঁক-ফোকর খুঁজতে পারে, কিন্তু যারা বাক-স্বাধীনতার ঝান্ডা নিয়ে মানুষকে পথ দেখাতে চায়, তারা কিভাবে চোর-চ্ছ্যাচ্চরের পলিসি নিতে পারে ?

    এটা নিশ্চিত- বাংলা একাডেমী শ্রাবণ প্রকাশনীর বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগণ সাপোর্ট করে । এটা ভুলে গেলে চলবে না, বইমেলার ৯৯% ক্রেতা সাধারণ জনগণের অন্তর্ভূক্ত, তারা ধর্মপ্রাণ, ধর্মবিদ্বেষী নয়। তাই বইমেলার বইগুলো সাধারণ জনগনের চিন্তাধারার প্রতিফলন মোতাবেক হতে হবে, এমন কোন বই বইমেলায় তোলা যাবে না, যা বইমেলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং সাধারণ ক্রেতাদের দূরে ঠেলে দেয়। দুই-একটা বেয়ারা প্রকাশকদের লাই দিলে সাধারণ জনগণ পুরো বইমেলাকে বয়কট করতে পারে, তখন হাজার হাজার প্রকাশকের পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না।
    আমি রবীন আহসান গংদের প্রতি অনুরোধ করবো- “অনেক হয়েছে, দয়া করে বইমেলাকে আর বিতর্কিত করবেন না, অন্য প্রকাশকদের পেটে লাথি মারবেন না। বাংলাদেশ ধর্মবিদ্বেষীদের ভূমি নয়, ধার্মিকদের ভূমি। না পোষালে তসলিমার মত ভারতে চলে যান, তসলিমা পশ্চিমবঙ্গের বইমেলা ধরেছে, আপনারাও ধরুন।”

    ------------------------------------------------------
    --আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।


    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728