Header Ads

ad728
  • Breaking News

    ৯ম-১০ম শ্রেণীতে উগ্রনাস্তিক কবির চৌধুরী বিকৃত প্রবন্ধ


    ৯ম-১০ম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের ১০৪-১০৫ পৃষ্ঠায় উগ্রনাস্তিক কবির চৌধুরীর লেখা ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধের নামে বিকৃত ইতিহাস, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া সম্বলিত লাইন পড়ানো হচ্ছে। প্রবন্ধটিতে বলা হচ্ছে-

    ১) “এক সময় গ্রামে নগরে নির্বিশেষে বাংলার সব মানুষ সে হিন্দু হোক মুসলিম হোক কি খ্রিস্টান হোক বাংলা নববর্ষের উৎসবে সোৎসাহে যোগ দিতো। পরষ্পরের বাড়িতে যাওয়া আসা শুভেচ্ছা বিনিময় খাওয়া দাওয়া নানা রকম ও আনন্দ উৎসব মেলা ও প্রদর্শনী মিলে সারা বছরের অন্যান্য দিনগুলো থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র হয়ে এ দিনটি গৌরবমন্ডিত হয়ে উঠতো। সাড়ে তিনশ’ বছরের বেশি আগে বিখ্যাত ঐতিহাসিক আবুল ফজল তার আইনী আকবরী গ্রন্থে বাংলা নববর্ষকে এদেশের নওরোজ বলে উল্লেখ করেছে।(পৃষ্ঠা-১০৪)

    খণ্ডন: কবির চৌধুরী ঐতিহাসিক আবুল ফজলের রেফারেন্স ব্যবহার করে মুসলমানদের জন্য পহেলা বৈশাখকে বৈধ করতে চেয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বলে এই আবুল ফজল সেই ধর্মব্যবসায়ী আবুল ফজল যে বাদশাহ আকবরকে নতুন ধর্ম দ্বীন-ই-ইলাহি বানাতে সর্বাত্মক সহযোগীতা করেছিলো। সে হিসেব করলে মুসলমানদের জন্য আবুল ফজলের রেফারেন্স কতটুকু গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য হবে ?

    ২) “উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে ব্রিটিশ উপনিবেশিক রাজত্বের দিনগুলোর এক পর্যায়ে বাংলা নববর্ষ পালনের মাধ্যমে এ দেশের শোষিত ও পরশোষিত জনগণের চিত্তের স্বদেশিকতা ও জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছিলো” (পৃষ্ঠা-১০৪)

    খণ্ডন: এটা সম্পূর্ণ ভুল ইতিহাস। পহেলা বৈশাখ পালন ব্রিটিশ বিরোধী চেতনা নয়, বরং দূর্গা পূজার মত পহেলা বৈশাখও হিন্দুরা পালন করতো ব্রিটিশদের খুশি করতে । এ সম্পর্কে ইতিহাস বলে- “আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। ” (http://bit.ly/2kmJIjV)

    ৩) “যদিও (পহেলা বৈশাখ নিয়ে) সে সময়কার কোন মুসলিম মনসে এর কোন গভীর বা প্রত্যক্ষ অভিঘাত লক্ষ করা যায় না”। (পৃষ্ঠা-১০৪)

    খণ্ডন: এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। মুসলমানরা শুরু থেকেই নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন পালনের বিরোধী ছিলো। এ সম্পর্কে ইতিহাস বলে- মুসলমানদের শেষ নবী যখন মদীনা শহরে গেলেন, তখন সেখানে দুটি উৎসব বন্ধ করে দিয়েছিলেন। একটি ছিলো বছরের প্রথম দিন উদযাপন বা নওরোজ এবং অপর উৎসবটির নাম ছিলো মিহিরজান।

    ৪) “১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্তির ফলে পাকিস্তান সৃষ্টির পর সেদিনের পূর্ব পাকিস্তানের নববর্ষ উদযাপন নিয়ে তৎকালীন নয়া উপনিবেশবাদী তীক্ষ্ণদৃষ্টি ধর্মান্ধ পাকিস্তান শাসক বর্গ যে মনোভাব প্রদর্শন করে তা একইসঙ্গে কৌতুহলোদ্দীপক ও ন্যাক্কারজনক। তখন এ অঞ্চলের শিক্ষিত মানুষ ধর্ম ও সম্প্রদায় নিরপেক্ষভাবে একটি প্রতিবাদী মনোভাব নিয়ে পরম উৎসাহ ভরে নববর্ষ উদযাপন করেছে। (পৃষ্ঠা-১০৪)

    খণ্ডন: ইতিহাস বলে ১৯৬৭ সালে রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ সূচনা করেছিলো স্বঘোষিত নাস্তিক ওয়াহিদুল হক ও সানজিদা খাতুন। তাদের সাথে ছিলো বড়জোর ৮-১০ জন সাঙ্গপাঙ্গ। কবির চৌধুরীর তার প্রবন্ধে যেভাবে বলেছে- ‘এ অঞ্চলের শিক্ষিত মানুষ’ তাতে মনে হচ্ছে কত হাজার হাজার যেন মানুষ। অথচ বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পাশাপাশি আপনার কি মনে হয় ওয়াহিদুল হজ বা সানজিদা খাতুন কেউ এ অঞ্চলের শিক্ষিত মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে ? কিংবা শিক্ষিত সমাজের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতাই বা কতটুকু, সে হিসেব করারও দরকার আছে। অথচ ঢালাওভাবে তাদেরকে পুরো বাঙালী শিক্ষিত সমাজের লিডার বানিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাতে চেয়েছে কবীর চৌধুরী।


    কবির চৌধুরীর প্রবন্ধটি পড়লে আপনি নিজেই অনুধাবন করতে পারবেন, পুরো প্রবন্ধটাই ভুল তথ্য, উগ্রমৌলবাদী নাস্তিকতা এবং গোজামিল দেয়া, যা পাঠ্যবইয়ে পাঠ্য করা মোটেও উচিত হয়নি। উল্লেখ্য-

    -এই সেই কবির চৌধুরী যে বলেছিলো- “তোমরা আমার মরণের সময় মোহাম্মদের জ্বালাও-পুড়াও ঐ কালেমা শুনাবে না, বরং রবীন্দ্রনাথের একটি সংগীত আমাকে শুনাবে।”

    - এই সেই কবির চৌধুরী যে সংবিধান রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিতে মামলা ঠুকেছিলো।

    - এই সেই কবির চৌধুরী যার ভাই কাইয়ুম চৌধুরি যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন ।

    - এই সেই কবির চৌধুরী যার ভাই কথিত বুদ্ধিজীবি মুনীর চৌধুরী, পাকিস্তানের পক্ষে যে ৩১ জন বুদ্ধিজীবি স্বাক্ষর দিয়েছিলো মুনীর চৌধুরি সেখানে ছিলো প্রথম।

    - এই সেই কবির চৌধুরী যে যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের অনুগত থেকে বাংলা একাডেমীতে চাকুরী করেছিলো।

    - এই সেই কবির চৌধুরী ১৯৭১ সালের ১৭ই মে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের চরমপন্থী উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছিলো, সংহতি প্রকাশ করেছিলো পাকিস্তান সরকারের সাথে।

    -এই সেই কবির চৌধুরী যাকে খোদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ন্যাশনাল এডুকেশন কাউন্সিল থেকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিলেন।


    তাই অবিলম্বে এই মৌলবাদী নাস্তিকের বিকৃত ইতিহাস, ভুলভাল তথ্য সম্বলিত পয়লা বৈশাখ প্রবন্ধটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানাই।

    ---------------------------------------------------
    --আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728