রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের কি দিলো ?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের কি দিয়েছে ? অনেকে হয়ত বলতে পারেন- আমরা তার থেকে বাংলা সাহিত্যের বিরাট অংশ পাচ্ছি ? কিন্তু স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে, রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কি কেউ আমাদের বাংলা সাহিত্যের স্বাদ দিতে পারতো না ? নাকি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সবার সাহিত্য বন্ধ করে, শুধু রবীন্দ্রসাহিত্য আমাদের গিলানো হচ্ছে ?? কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যান্য মুসলিম সাহিত্যিকদের। কারণ এর পিছনে রয়ে গেছে স্বার্থবাদী মহলের বিরাট উদ্দেশ্য।
এটা ভুলে গেলে চলবে না- রবীন্দ্রনাথ কিন্তু ভারতের জাতীয় কবি। তার চর্চা মানে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ভারতীয় জাতীয়তাবাদ প্রবেশ করানো। আজকাল অনেকে ভারতীয় নানান বিষয়ের বিরোধীতা করেন, কিন্তু তারাই যখন রবীন্দ্রসাহিত্যের কথা আসে, তখন চুপ করে যান, কারণ রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যের সাথে সে দ্বিমত হতে পারে না।
আমি জানি, অনেকে সাহিত্যের মধ্যে কন্সপিরেসি থিউরী খুজতে দ্বিধাবোধ করেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দুনিয়ার যাবতীয় কন্সপিরেসির বড় অংশ ঘটে থাকে সাহ্যিতের মাধ্যম দিয়ে। রবীন্দ্রনাথ যে সেই কন্সপিরেসির অংশ নয়, সেটা আপনি কি করে জানেন ? আজকাল কেউ নোবেল পেলে আমরা চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি, সম্রাজ্যবাদীদের সাথে বিশেষ সম্পর্কের কারণে নোবেল পেয়েছে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের নোবেলের প্রশ্ন যখন আসে, তখন সবাই কাচুমাচু করে উঠি।
পাঠক ! আমিও সাহিত্য চর্চা পছন্দ করি, কিন্তু আমার একজোড়া চোখ আছে, যার মাধ্যমে আমি সাহিত্যের আড়ালেও কিছু কিছু বিষয় দেখতে পাই, যা সাধারণ মানুষের চোখে আটকায় না। আজকাল একটা গোষ্ঠী আছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম দিয়ে ইসলামের বিরোধীতা করে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়- সে নিজেও দেশবিরোধীতায় লিপ্ত। রবীন্দ্রনাথও কিন্তু ঐ কোয়ালিটির লোক ছিলো। সে হিন্দুত্ববাদী স্বার্থের জন্য দেশপ্রেমের গুনগান ব্যবহার করতো, বাংলা অঞ্চলকে ভালোবাসার কথা বলতো। যেমন- হিন্দুস্বার্থ রক্ষার জন্য বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করে সে দেশপ্রেমের গান- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি‘ লিখেছিলো। কিন্তু ভারতের জাতীয় ভাষার প্রশ্ন যখন আসলো, তখন রবীন্দ্রনাথই হিন্দিভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সমর্থন দিলো।
পাঠক ! আমি আবারও বলছি, বাংলাদেশকে উন্নতি করতে হলে সর্বপ্রথম বেরিয়ে আসতে হবে ভারতীয় আগ্রাসণ থেকে, আর সেই আগ্রাসণ থেকে বেড়িয়ে আসতে সর্বপ্রথম ত্যাগ করতে হবে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ থেকে, আর সেই ভারতীয় জাতীয়তাবাদ থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে প্রথমে ত্যাগ করতে হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। যতদিন বাংলাদেশের মানুষ রবীন্দ্রনাথকে ত্যাগ না করতে পারবে, ততদিন ভারত বিরোধীতা যোগফল শূণ্য বলেই গণ্য হবে, যা নিয়ে তর্ক করার কোন অবকাশ নাই।
---------------------------------------------------
--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments