Header Ads

ad728
  • Breaking News

    ভারত যদি অস্ত্র বানাতে এত পারঙ্গমই হতো, তবে বিদেশ থেকে এত অস্ত্র আমদানি করে কেন ?


    শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশ নাকি ভারত থেকে অস্ত্র আমদানি করতে যাচ্ছে। কিন্তু ভারতের অস্ত্র আসলে কেমন ? এত টাকা দিয়ে কিনলে তো ভালো জিনিসই কেনা উচিত। ভারতের অস্ত্র কেমন, এ প্রশ্নের জবাব নিয়ে গত কয়েক বছর আগে নিউইয়র্ক টাইমসে গার্ডিনার হ্যারিসের লেখা World’s Biggest Arms Importer, India Wants to Buy Local শিরোনামের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো। ঐ প্রতিবেদন থেকে উল্লেখযোগ্য অংশ অনুবাদ করে দেয়া হলো .........
    ‘ভারতের মতো পৃথিবীর আর কোনো দেশ অস্ত্র তৈরিতে এত ব্যর্থ হয়নি,’ বলছিলেন স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র গবেষক পিটার ডি. ওয়েজম্যান। এ প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে গবেষণা করে।
    ভারতের সামরিক অস্ত্রশস্ত্র বানানোর সক্ষমতার উপর সংশয় প্রকাশ করে ওয়েজম্যান বলেন, ভারতের ফাইটার, ট্যাংক ও গানগুলো ‘নিম্নমানের’।
    নয়াদিল্লি-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষক মানোজ জোশি বলছিলো, ‘অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের প্রধান সমস্যা হচ্ছে এর অস্ত্র তৈরিকারকরা দুর্নীতিপরায়ণ এবং সরকার অদক্ষ। এদের অস্ত্র তৈরির কারিগরী জ্ঞানও ভালো নয়। আবার একসাথে প্রচুর অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাও নেই।’
    একটা পরিষ্কার উদাহরণের মাধ্যমে বলতে গেলে দেখা যায়, রাশিয়া থেকে সুখই ফাইটার বিমান কিনতে প্রতিটাতে খরচ পড়ে ৫.৫ কোটি মার্কিন ডলার। আর সব যন্ত্রপাতি খুচরা কিনে এনে সরকারি মালিকানার হিন্দুস্তান এয়ারোনটিকসে বানানো হলে খরচ পড়ে ৬.৮ কোটি মার্কিন ডলার!
    ভারত সরকার স্বাধীনভাবে বা সরকারের সাথে অস্ত্র তৈরির জন্য অনেক উৎসাহ দিয়েছে বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে। কিন্তু এরকম চেষ্টা অল্পই সফল হয়েছে। বেশিরভাগ অস্ত্রই বানাতে হয় সরকারি ল্যাবে।
    বেসরকারি কোম্পানিগুলো সরকারের সাথে কাজ করতে বেশিরভাগ সময়ই অনিচ্ছুক। তাছাড়া সরকার বিদেশি কোম্পানিগুলোকে কোনো ভারতীয় কোম্পানির ২৬% এর বেশি কিনতে দেয় না। তবে অস্ত্র তৈরি খাতে এ সীমারেখা ৪৯% করার পরও তেমন দৃশ্যমান পরিবর্তন আসেনি।
    কারখানার দুরবস্থা, অদক্ষ কর্মী ইত্যাদি কারণে ভারতের অস্ত্র নির্মাণ শিল্প দুর্বল। ভারতের এ দুর্বলতা রাশিয়ার আয়ের দরজা খুলে দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে বিশ্বের মোট অস্ত্র আমদানির ১২ ভাগ করেছে ভারত এবং রাশিয়া থেকেই মোট আমদানির প্রায় ৭৯% অস্ত্র আমদানি করা হয়েছে।
    দুর্বল অবকাঠামো, শ্রম আইনের দুর্বলতা এবং জমিজমা কিনতে ঝামেলা এসব কারণে ভারতে অস্ত্র বানানো খুবই কঠিন। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ভারত বেসরকারি কোম্পানি টাটার সাথে যৌথ উদ্যোগে হায়দরাবাদে একটি প্লান্ট প্রতিষ্ঠা করেছে। ওখানে মাঝারি আকারের এস-৯২ হেলিকপ্টার বানানোর কাজ শুরু হয়েছে।
    টাটা-সিকরস্কাই যৌথ উদ্যোগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার আশীষ সরাফ বলেন, ভারতে উৎপাদন স্থানান্তর করা হয়েছে এ কারণে নয় যে খরচ কমে গেছে (আসলে খরচ বেশি), বরং স্থানীয় একটা বাজার তৈরি করার জন্য এটা করা হয়েছে। টাটা-সিকরস্কাই এর যৌথ উদ্যোগটির ২৬ ভাগ মালিকানা সিকরস্কাইর।
    কিন্তু এ কাজ চালানোর চ্যালেঞ্জ অনেক। কোম্পানীর ১১ একরের ওই এলাকাটাতে নতুন রাস্তা বানাতে হবে। পানিশোধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থাসহ সব কাজ কোম্পানিকে করতে হবে। সরকার থেকে তারা অনুমতি পেয়েছে কিন্তু প্রাথমিকভাবে মাত্র ৬টি ব্যাক-আপ জেনারেটর দিয়ে কাজ শুরু করেছে। মাঝে মাঝে বিদ্যুত চলে যাওয়াতে এ জেনারেটরগুলো প্রস্তুত করে রাখতে হয়।
    আকাশযান নির্মাণ শিল্পের কর্মচারীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মধ্যে যেতে হয়। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষ করার কিছুদিন পর অন্য উচ্চ বেতনের চাকুরিতে চলে যায় তারা।
    আশীষ সরাফ বলছিলেন, ‘আমাদের মেধাগুলো সবসময় অপহরণ হয়ে যায়।’
    কোম্পানি অর্থকড়ি খরচ করে দক্ষ কর্মী তৈরি করে কিন্তু তারা তাদের সেবা কোম্পানিতে দীর্ঘদিন না দিয়ে অন্য কাজে উচ্চ বেতনে চলে যায়। এতে কোম্পানির অনেক ক্ষতি হয়। এজন্য কর্মচারীদের কোম্পানিতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করতে বাধ্য করতে হয়।
    শিপিং বা জাহাজীকরণ হচ্ছে আরেকটা ঝামেলার ব্যাপার। শিপিং করতে গিয়ে মালামালের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। তাছাড়া ভারতের স্থলপথ খুবই খারাপ। জাহাজে করে বিভিন্ন খুচরা অংশ পাঠানো হয় আমেরিকার পেনসিলভেনিয়াতে যেখানে পুরো বিমানটা একসাথে যুক্ত করতে হয়।
    সরাফ বলেন, ‘প্রথমদিকে আমাদের খরচ ছিল অনেক বেশি এবং প্রত্যেকটা জায়গাতেই আমাদের খরচ করতে হয়েছে-ইন্টারনেট, ফোন, পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুত…সবকিছু। আনুষঙ্গিক বিষয়াদিসহ পরিবহন খাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়।’
    ভারতে উচ্চ প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনের ঝামেলার কারণে অনেক মহামূল্যবান যন্ত্রপাতি পড়ে আছে।
    ‘আমরা এখন একটা ক্রান্তিকাল পার করছি। আমাদের প্রয়োজনের সব যন্ত্রপাতিই আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করতে পারি না। এখন দেশে উৎপাদন শুরু করতে হবে। কিন্তু আমরা মাত্র কয়েকটা ফাইটার, একটা ট্যাংক এবং কয়েকটা যুদ্ধজাহাজ বানিয়েছি’, বলছিলেন অজয় শুক্লা।
    অজয় শুক্লা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সংবাদপত্রের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্পাদক।
    এদিকে, ভারতীয় সামরিক বাহিনী বেশিরভাগ সময়েই ভারতীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে চায় না। হিন্দুস্থান এয়ারোনটিকসে জোড়াতালি দেয়া অনেকগুলো রাশিয়ান যুদ্ধ বিমানই দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনী এসব আকাশযানগুলোকে ‘উড়ন্ত কফিন’ বলে থাকে।
    ভারতে তৈরি সাবমেরিন এবং নৌজাহাজগুলোও মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে।
    গত কয়েকবছরে কয়েকটা ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েক সপ্তাহ আগে নৌবাহিনী প্রধান পদত্যাগ পর্যন্ত করেছেন। বেসামরিক ভারতীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং এসব যন্ত্রপাতি ও যুদ্ধযান ব্যবহারকারী সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর কারণে ভারতে নির্মিত অস্ত্রশস্ত্রের বাজার আরও পড়তির দিকে।
    (সূত্র:http://nyti.ms/2mHxAtO)
    -------------------------------------
    উল্লেখ্য পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ হচ্ছে ভারত, আবার রফতানিকারক শীর্ষ ১৫ তালিকার মধ্যে তার নাম নাই (https://en.wikipedia.org/wiki/Arms_industry)। ভারত যদি অস্ত্র বানাতে এত পারঙ্গমই হতো, তবে বিদেশ থেকে এত অস্ত্র আমদানি করে কেন ??
    এ বিষয়টি নিয়ে কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও প্রতিবাদ তুলেছিলো, যা কিছুদিন আগে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সাথে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে আগ্রহী। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ভারতের প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, দিল্লী চায় চীন থেকে না কিনে ভারত থেকে অস্ত্র কিনুক বাংলাদেশ। কিন্তু সেনাবাহিনীর কথা হচ্ছে, ভারত নিজেই বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করে। এর অর্থ তারা নিজেরাই নিজেদের অস্ত্রকে মান সম্পন্ন মনে করে না। এমতাবস্থায় ভারত থেকে অস্ত্র আনতে রাজি নন বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তারা। (http://bit.ly/2n60N5o)
    এই যদি হয়, অবস্থা তবে পুরো দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারতের সাথে অস্ত্রচুক্তি কেন ?? কার স্বার্থে ?? জাতি তা জানতে চায় ??

    ---------------------------------------------------
    --আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728