গুল মেরে গুগলের উপর চালিয়ে দিলো হাসান মাহমুদ !!!

বিডিনিউজ ২৪ ডট কমে হাসান মাহমুদের মতামত (http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/45411) ও আমার কিছু প্রশ্ন- গত কয়েকদিন আগে বিডিউনিজ২৪ডট কমে নাস্তিক্যবাদী মুক্তমনা ব্লগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসান মাহমুদ একটা স্টাটাস লিখে দাবি করে ইসলামে ভাস্কর্য্য বৈধ । মন্তব্যটি পরার পর আমার হাসান মাহমুদকে কিছু প্রশ্ন করতে ইচ্ছা হচ্ছে-

১) ভাষ্কর্য্য যদি ইসলামে বৈধ-ই হয়, তবে মুসলমানদের শেষ নবীর ভাষ্কর্য্য নেই কেন ? তার ভাস্কর্য্য থাকা তো সবার আগে দরকার ছিলো ??

২) ভাষ্কর্য্য যদি ইসলামে বৈধ হয়, তবে তার কলামেই কেন আছে মুসলমানদের বিরোধীতার কারণে নিউইয়র্ক আপিল বিভাগের কোর্ট দালানের ছাদের মূর্তি সরানো হলো ? তার স্ট্যাটাস দ্বারা কি প্রমাণ হয় না- ইসলাম রীতি মানতেই মুসলমানরা ঐ মূর্তি সরাতে বলেছিলো ?

৩) হাসান মাহমুদ তার লেখার শুরুতেই বলেছে ভাস্কর্যের সাথে হেফাজাতিরা ইসলামকে জড়িয়ে ফেলেছে। কিন্তু তার লেখাতেই কি প্রমাণ হয় না- শুধু হেফাজত নয়, আমেরিকার মুসলমানরাও ভাস্কর্য্যের বিরোধীতা করেছিলো ?

৪) হাসান মাহমুদ মূর্তি আর ভাস্কর্য্য আলাদা করতে চেয়েছে, বলেছে- ঐ ভাস্কর্য্য পূজার জন্য নয়। কিন্তু ছবিতে দিয়েছে সুপ্রীম কোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবী জাস্টিসিয়া বা রোমান দেবী থেমিস এর মূর্তি। এই মূর্তিটি রোমান বা গ্রিকদের পূজনীয় দেবীর মূর্তি। এখন কেউ যদি দূর্গা মূর্তি স্থাপন করে বলে, ‘এটা দূর্গার ভাষ্কর্য্য’, তবে বিষয়টি কেমন হবে ?

৫) হাসান মাহমুদ তার লেখায়, ফতহুল বারি’র লেখক ইমাম ইবনে হাজার আসকালানীকে বিতর্কিত করতে গিয়ে বলেছে- “(নবী) কী কারণে করেছিলেন সেটা ইমামের জানা সম্ভব নয়। কারণ তিনি রাসুলের (সা.) ৮০০ বছর পরের হাজার মাইল দূরে মিসরের লোক, রাসুলের (সা.) সঙ্গে তাঁর দেখাও হয়নি, কথাও হয়নি।” -- আমার কথা হচ্ছে ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী ৮০০ বছর পরে আসলে, হাজার মাইল দূরে আসলে এবং কথা না হলে যদি তাকে বিতর্কিত করা হয়, তবে হাসান মাহমুদ ১৪০০ বছর পরে এসে, হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে, না কথা বলে, না জেনে পাবলিকের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে ??

৬) হাসান মাহমুদ তার লেখায় বলেছে- “রাসুলের (সা.) অজস্র ছবি স্বচক্ষে দেখতে চাইলে ইরানে চলে যান। দেখবেন দেয়ালে ঝুলানো সুদৃশ্য কার্পেটে আছে মা আমিনার কোলে শিশু নবী (সা.), সাহাবি পরিবেষ্টিত নবীজি (সা.), আসমানে বোরাখে উপবিষ্ট নবীজি (সা.) ইত্যাদি। গুগল করলেই পেয়ে যাবেন– সবই কাল্পনিক ছবি অবশ্য– হাজার বছর ধরে আছে ওগুলো । ইরান এখন তো শিয়া দেশ, কিন্তু ৭৫০ সালে আব্বাসিরা দখল করার আগে পর্যন্ত ওটা সুন্নি উমাইয়াদের রাজত্ব ছিল।"--- এ বাক্যগুলো লিখে হাসান মাহমুদ প্রমাণ করেছে সে মিথ্যাবাদী। কারণ হাজার বছর পুরোনো নবীর কোন ছবি ইরানে আছে, সেটা সে দেখাতে পারবে না। সাম্প্রতিক বিতর্কিত শিয়া মতবাদ চালু হওয়ার পর হয়ত কিছু বিষয় হচ্ছে, কিন্তু হাজার বছর পুরানো ?? হাসান মাসুদ দলিল দিলো- গুগল মামা !!! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগছে- তবে কি গুল মেরে গুগলের উপর চালিয়ে দিলো হাসান মাহমুদ ??

“গুগল করুন- সব উত্তর পেয়ে যাবেন”- এই যদি হয় হাসান মাহমুদের গুলমারা শক্তি, তবে এই সব আজগুবি লেখা লিখে তার গু...মারা খেতেও সময় লাগবে না।

---------------------------------------------------

--আমার নতুন পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।

--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)