আসন্ন বাংলাদেশ-ভারত সামরিক চূক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ভারতের কাছে বর্গা দেয়া হবে
আসন্ন বাংলাদেশ-ভারত সামরিক চূক্তির কথা বলছি। এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ভারতের কাছে বর্গা দেয়া হবে। আমরা জানি সেনাবাহিনী দেশের সম্পদ, প্রতি বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ইনভেস্ট করা হয় এই সেনাবাহিনীর পেছনে। উদ্দেশ্য দেশের জরুরী প্রয়োজনের সময় যেন সার্বভৌম রক্ষা করতে এই বাহিনী এগিয়ে আসে। এভাবে প্রায় অর্ধ শতাব্দী ইনভেস্টের পর বর্তমান সেনাবাহিনীকে আমরা পাচ্ছি। এই চুক্তির মাধ্যমে সেই সেনাবাহিনীকেই ধ্বংস করা হবে। সেনাবাহিনী নিয়ে আওয়ামী সরকারের রেকর্ড যদিও ভালো না। আওয়ামী সরকারের আমলেই ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের নামে প্রায় অর্ধ শত সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বলা হয়, এই বিডিআর বিদ্রোহের সময় এতগুলো সেনা কর্মকর্তা মারা গেছে, যা কোন বিশ্বযুদ্ধেও মারা যায়নি। কথিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যা হারিয়েছে তা আর কখন পূরণ হবার নয়। শেখ হাসিনার আমলে সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ করার মনমানসিকতা থেকে সরে কনটাকটর হিসেবে বেশি দেখা গেছে। অনেকেই বলেন- বিডিআর বিদ্রোহের পর আর্মি যেন না ক্ষেপে যায়- এর মধ্যে শেখ হাসিনার যতগুলো কৌশল ছিলো তার মধ্যে অন্যতম ছিলো আর্মিদেরকে রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার আর রিয়েলস্টেটের কাজ দেয়া। আর্মিরা সেখান থেকে টাকা পাবে, আর চুপ থাকবে।
বর্তমানে শেখ হাসিনার `ভারত সফর‘ কথাটা আসলে একই সাথে আরো দুটো নাম আসবে- একটির নাম চীন অপরটির নাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আপনারা জানেন- বাংলাদেশ সবথেকে বেশি অস্ত্র আমদানি করে চীন থেকে। আর সেই অস্ত্রের কারণেই হোক বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর সাথে চীনের একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠা অসাস্বাভিক নয়। গত ১৯শে মার্চ, ২০১৭ তারিখে, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় বদরুদ্দিন ওমরের লেখায় (http://bit.ly/2o4QvDm), একটি বিষয় ফুটে উঠেছে, ভারতের সাথে চুক্তি হলে চীন খুশি হবে না। বদরুদ্দিন ওমরকে যারা চিনে, তারা বুঝবে বদরুদ্দিন ওমরের লেখা ফেলে দেয়ার মত নয়। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে চীনের অখুশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে কতদূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে ? সেটা শেখ হাসিনা সরকারকে চিন্তা করা উচিত। অন্তত থাইল্যান্ডের সেনা অভ্যূথান কিংবা মিয়ানমারের সেনা শাসনের কথা শেখ হাসিনার না ভুলে গেলেও চলবে, যেগুলোর পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছিলো এই চীন-ই।
বদরুদ্দিন ওমরের লেখায় একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, সরকারের ভেতর একটি মহল আছে যারা ভারতের সাথে চুক্তির বিরোধীতা করে। কিন্তু বর্তমান অবস্থাদৃষ্টি এটা স্পষ্ট, ঐ মহলটি নিতান্তই সংখ্যালঘু। আর ভারতের সাথে চুক্তির পক্ষে আছে সংখ্যাগুরু ও শক্তিশালী মহল। কারণ একবার খবরে আসছে সরকার চুক্তি করবে না, আবার ভারতীয় মিডিয়ায় খবর আসছে সরকার চুক্তি করবে। ইতিমধ্যে ভারতের সেনাপ্রধান বাংলাদেশ ঘুড়েও গেছে- হয়ত শেখ হাসিনার যেন জনগণ ও ঐ ক্ষুদ্রমহলের কথায় ভিন্ন কিছু চিন্তা না করে সেটাই স্মরণ করানেই তার উদ্দেশ্য ছিলো।
আমি দেখছি, বর্তমানে আওয়ামী সরকারের হঠাত করে এমন কিছু উদ্ভট সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা দর্শনে বোঝা যাচ্ছে, ঐ সংখ্যাগুরু মহলটি বেশ কার্যকর ভূমিকায় উপনিত হয়েছে এবং অতি সম্প্রতি এমন সব সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে যা সরকারকে ডুবিয়ে মারা ছাড়া অন্য কিছু না। যেমন-
১) একের পর এক দুর্বল জঙ্গী নাটক সাজানো এবং সাধারণ জনগনের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করা
২) সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন
৩) অমঙ্গলশোভাযাত্রাকে শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা
৪) মসজিদ ভাঙ্গার আইনের খসড়া করা
৫) সুপ্রীম কোর্ট থেকে মসজিদে খুতবা উপর ফৌজদারি বিধি নিষেধ দেয়া।
৬) দুই মেয়রকে বরখাস্ত
১) একের পর এক দুর্বল জঙ্গী নাটক সাজানো এবং সাধারণ জনগনের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করা
২) সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন
৩) অমঙ্গলশোভাযাত্রাকে শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা
৪) মসজিদ ভাঙ্গার আইনের খসড়া করা
৫) সুপ্রীম কোর্ট থেকে মসজিদে খুতবা উপর ফৌজদারি বিধি নিষেধ দেয়া।
৬) দুই মেয়রকে বরখাস্ত
অর্থাত গণমানুষ এমনকি আর্মি সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে ঐ মহলটি সরকারকে বিশেষ কিছু কাজ করিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি সোজা ভাষায় বলতে গেলে অযথাই মৌচাকে ঠিল ছোড়ার মত। অন্তত কোন সুস্থ মস্তিস্কের শাসকের মাথায় এসব চিন্তা আসা চিন্তা ঘুনাক্ষরেও আসা সম্ভব নয়। আমি বলবো, শেখ হাসিনার সরকার ঐ বিশেষ গোষ্ঠীর কথায় যে জটিল পরিস্থিতি তৈরী করছে তাতে গৃহযুদ্ধ আসন্ন। এক্ষেত্রে পরবর্তীতে সরকার হয়ত পরিস্থিতি সামাল দিতে ঐ বিশেষ গোষ্ঠীর সিদ্ধান্তেই আরো অ্যাগ্রেসিভ হয়ে জনগণের উপর বল প্রয়োগ করবে, মিশরের সিসির মত হয়ত বিরাট গণহত্যা চলবে বাংলাদেশে, কিন্তু তাতে সমাধান আসবে না । আসলেই একটা কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments