ভারতের আজমীর দরগার কথিত খাদেম যাইনুল আবেদীন খান গরু খাওয়া ছেড়ে দিতে বলেছে!
আজকে একটা মজার খবর পড়লাম, ভারতের আজমীর দরগার কথিত খাদেম যাইনুল আবেদীন খান নাকি মুসলমানদের বলেছে- হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতির কথা চিন্তা করে গরু খাওয়া ছেড়ে দিতে। সে আরো বলেছে- মুসলমাদের তিন তালাক পদ্ধতি নাকি শরীয়া বিরোধী। (http://bit.ly/2nzBzt9) আজমীর দরগায় শায়িত ধর্মপ্রচারক মঈনুদ্দিন চীশতীর অন্তর্ধান অনুষ্ঠান (হিজরী সন অনুযায়ী ৬ই রজব, আজকে বাংলাদেশে ৬ই রজব চলছে) উপলক্ষে সে এ বক্তব্য দেয়। তার এ বক্তব্য শুনে ইতিমধ্যে তাকে ভারতরত্ন পুরুষ্কার দেয়া উচিত বলে ঘোষনা করেছে শিব সেনার মুখপাত্র উদ্দাভ ঠেকারি।
যাই হোক, ঐ দরগার প্রায় ১০-১৫ হাজার খাদেমের মধ্যে মাত্র ১ খাদেম কি বললো না বললো সেটা কোন ব্যাপার না, ব্যাপার হচ্ছে সে যে মাজারকে আশ্রয় করে পেট চালিয়ে যাচ্ছে, সেই ধর্মপ্রচারক মঈনুদ্দিন চিশতীর হিন্দুদের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গী বা কার্যক্রম কি ছিলো ?? ইতিহাস কি বলে ???
ইতিহাস বলে- ১২শ‘ শতাব্দির দিকে ভারতের আজমির-দিল্লীতে শাসন করতো এক অত্যাচারি হিন্দু রাজা নাম পৃথ্বিরাজ। সেই পৃথিরাজের দেড় হাজার মন্দিরময় এলাকার মাঝে ইসলামের দাওয়াত দিতে এসেছিলেন ধর্মপ্রচারক মঈনুদ্দিন চীশতী। তার সাথে এসেছিলেন আরো ৪০ জন ধর্মপ্রচারক। কিন্তু তারা আসতেই পৃথিরাজ নানাভাবে তাদের কষ্ট দিতে থাকে। এক সময় ধর্মপ্রচারক মঈনুদ্দিন চিশতী ও তার সঙ্গী সাথীদের ঘায়েল করতে পর পর দুই বড় যাদুকরকে পাঠানো হয়। একজনের নাম রামদেও, এবং অন্যজনের নাম অজয় পাল। কিন্তু দুজনেই মঈনুদ্দিন চিশতিকে দেখে ইসলাম গ্রহণ করে। তাদের নাম হয় যথাক্রমে মুহম্মদ সাদী ও আব্দুল্লাহ বিয়াবানী। এভাবেকরে মঈনুদ্দিন চীশতী ধর্মপ্রচার করতে থাকলেন, আর অত্যাচারী হিন্দু রাজা পৃথিরাজ থাকে নানা ভাবে বাধা দিতে থাকলো। এই নিয়ে বেশ কিছু সংঘর্ষও ঘঠলো। যাই হোক ঘটনাক্রমে, সুলতান শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ ঘুরীকে ডাকা হয় সেই হিন্দুরাজা পৃথিরাজকে শায়েস্তা করতে। সুলতান শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ ঘুরী, সেনাপতি কুতুবুদ্দিন আইবেককে নিয়ে রওনা হলেন হিন্দুস্থান অভিমুখে। এবার পৃথিরাজ বাহিনীর সাথে তাদের কঠিন যুদ্ধ হলো, সেই যুদ্ধে জয়লাভ করলো মুসলমানরা। পৃথিরাজ নিহত হলো, হিন্দু শাসনের পতন হলো। ধর্মপ্রচারক মঈনুদ্দিন চীশতীর কাছে প্রায় ১ কোটি ভারতীয় ইসলাম গ্রহণ করেছিলো, এ অঞ্চলে আবাদ হয়েছিলো ইসলামের। সে হিসেবে- মঈনুদ্দিন চিশতী নামটি শুনলেই হিন্দুদের অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠার কথা, কিন্তু সেখানে (আজমীর দরগায়) মোদি সরকারের আমলে বসানো হয়েছে যাইনুল আবেদীন নামক এক হিন্দু দালালকে । যাই হোক সমস্যা নাই, কথিত খাদেম যাইনুল আবেদীনের কথায় তো আর ইতিহাস পরিবর্তন হয়ে যাবে না, বরং ধর্মপ্রচারক মঈনুদ্দিন চীশতীর নাম আসলেই হিন্দু পতনের ইতিহাস স্মরণ হবে বার বার।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments