গংগীবাদের আবির্ভাব : ইতিহাস, কখন ও কেন ?
বর্তমান সময়ে আমরা মিডিয়ায় যে গংগী গংগী শব্দ শুনতে পাই, এ গংগীবাদের শুরুটা কবে থেকে হলো ? এর আবির্ভাব হলো কখন থেকে ? কেন হলো ?? এই ইতিহাসগুলো আমরা কেউ জানতে চাই না। কিন্তু এই ইতিহাসগুলো যদি জানা যায়, তবে গংগীবাদের আসল গোমর ফাঁস হয়ে যায়।
পশ্চিমাবিশ্ব গংগী গংগী বলে সারা বিশ্বব্যাপী যে প্রচারণা চালায়, তার ইতিহাস কিন্তু খুব একটা আগের না, বড়জোড় ৯০ এর দশকে। এরপর আল কায়েদা, বোকোহারাম, আইএস একের পর এক সৃষ্টি করা হয় বিশ্বজুড়ে। স্বাভাবিকভাবে কথা উঠতে পারে ৯০ এর আগে কেন গংগীবাদ ছিলো না, তাদের দৃষ্টিতে ইসলাম ও মুসলমান তো ১৪০০ বছর আগে থেকে, কিন্তু গংগীবাদ কেন মাত্র ৩০ বছর আগে সৃষ্টি হলো ?? আর ৩০ বছর আগে যারা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস করতো তাদের কি নামে ডাকা হতো ??
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখুন একই অবস্থা। গংগী সংগঠন জেএমবির সৃষ্টি ১৯৯৮ সালে, ২০০১ সালে তা জনসম্মুখে আসে। এরপর আসে আরো অনকেগুলো নামে-বেনামে সংগঠন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালে, মানে ৪৬ বছর আগে। কিন্তু তখন কেন গংগী সংগঠনগুলোর সৃষ্টি হলো না, হলো মাত্র ২০ বছর আগে ?? কারণটা কি ??
আসলে গংগীবাদ সৃষ্টিকারী হচ্ছে অমুসলিম গোষ্ঠী, এবং এ কারণেই তাদের আবির্ভাব মাত্র ২০-৩০ বছর আগে। শুরুতে অমুসলিম সম্রাজ্যবাদীরামুসলমানদের থেকে এদের ভাড়া করে, এরপর তাদের দিয়ে শত্রুগোষ্ঠীকে ঘায়েল করে। যেমন আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে আমেরিকানরাই তালেবানদের হাতে অস্ত্র দিয়েছে রাশিয়াকে ভাগানোর জন্য। কিন্তু রাশিয়াকে ভাগানোর পর সেই তালেবানদের নাম দেয়া হয়ছে সন্ত্রাসী। এরপর তৈরী করা হয়েছে আল কায়েদা, বিশ্বব্যাপী প্রচার করা হয়েছে কথিত ইসলামী গংগীবাদ। এরপর সিরিয়ান সীমান্তে তেলক্ষেত্রগুলো দখলে নিতে তৈরী করা হলো আইএস নামক সংগঠনকে, কিন্তু ব্যবহার করা হলো ইসলাম নামটি। অথচ এর আগে, গংগী আর ইসলাম এই দুইটি শব্দ এক সাথে উচ্চারিত হয়েছে বলে কেউ বলতে পারবে না। বরং সকল সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আসতো খ্রিস্টান, ইহুদী, হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও নাস্তিকদের থেকে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। স্বাধীনতার পর থেকে বামপন্থী নাস্তিকরাই ছিলো এক নম্বর সন্ত্রাসী। জাসদ নামক সংগঠনটি ছিলো কুখ্যাত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, যাদের কাজ ছিলো দেশব্যাপী মানুষ হত্যা করা। নাস্তিক্যবাদী সর্বহারা সন্ত্রাসের জ্বালায় মানুষ ছিলো অতিষ্ঠ। তখন ঐ নাস্তিকদের দমন করতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু দাড়িটুপি ওয়ালাদের ভাড়া করে ইসলামের নাম দেয়া হলো। শুরুতে সবাই জানতো এরা সরকারী সংগঠন, কিন্তু হঠাত করে তারা হয়ে গেলো গংগী। এবার ধর তাদের।
আসলে বিশ্বব্যাপী এখন যেটা হচ্ছে- সেটা হলো রাষ্ট্রীয় গংগীবাদ। যেমন- আমেরিকা। তার জনগণ ভোট দিয়ে নিয়ে এসেছে ট্রাম্প নামক এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে। সে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসে একের পর এক গংগীবাদী বয়ান দিচ্ছে, আর মানুষ হাতে তালিয়া বাচাচ্ছে। আবার সেই আমেরিকাই বিশ্বজুড়ে গংগীবাদ দমনের নামে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করছে। কিন্তু সেটা গংগীবাদ হচ্ছে না। ভারতেও একই অবস্থা। মোদি নিজেই একটা কুখ্যাত গংগী, দাঙ্গার হোতা। প্রতিনিয়ত ভারতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, অত্যাচার করা হচ্ছে। মানুষ ভোট দিয়ে নিয়ে আসছে আদিত্যনাথের মত কুখ্যাত টেরোরিস্টকে। কিন্তু তারপরও সেটা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ। ফলে কেউ তাকে গংগী বলছে না।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখুন, একই অবস্থা। আওয়ামী সরকার সারা দেশব্যাপী মানুষ মারছে, গুম করছে, কিন্তু কেউ তাকে গংগী বলছে না। অপরদিকে কোন বাড়ির মধ্যে কোন চিপায় ১০ মাস বয়সী একটা শিশু আছে, তাকে গংগী ট্যাগ দিয়ে দেহ ছিন্নভিন্ন করা হচ্ছে। পুলিশ গংগী গংগী জপ তুলে দেশব্যাপী মুসলমানদের হয়রানি করছে। দাড়ি রাখলে, টুপি পড়লো, নামাজ পড়লে, টিভি না রাখলে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আসলে কি তারা গংগী ?
আসলে বাংলাদেশ বলেন আর বিশ্ব বলেন- সব যায়গায় চলছে রাষ্ট্রীয় গংগীবাদ। আর সেই রাষ্ট্রীয় গংগীবাদকে আড়াল করার জন্যই প্রচার করা হচ্ছে গংগী-গংগী নাটককে ।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments