মূর্তি আর ভাস্কর্যের মধ্যে পার্থক্য কি ?
আজকাল টকশোগুলোতে প্রায় তর্ক হয় মূর্তি আর ভাস্কর্য নিয়ে। হুজুররা বলে মূর্তি আর ভাস্কর্য এক জিনিস, আর মূর্তিবাদীরা বলে- না, মূর্তি আর ভাস্কর্য এক জিনিস নয়।
তবে বিতর্কিত মূর্তিব্যবসায়ী মৃণাল হক মূর্তি আর ভাস্কর্যের আলাদা দাবি করে, একটি সংজ্ঞা প্রচার করেছে। তার দাবি- যাকে পূজা করা হয়, তাকে মূর্তি বলে। আর যাকে পূজা করা হয় না তাকে ভাস্কর্য বলে।”
মৃনাল হক যদি নিজে ভাস্কর দাবী করে থাকে, তবে অবশ্যই তার এ বিষয়ে পড়াশোনা আছে। এবং আমি বলবো-এ সংজ্ঞার দ্বারা সে ইচ্ছা করেই সত্য গোপন করেছে এবং মানুষকে মিসগাইড করেছে। আসুন আজকে আমরা এ দুটো শব্দ নিয়ে একটু বিশ্লেষণ করি।
মৃনাল হক যদি নিজে ভাস্কর দাবী করে থাকে, তবে অবশ্যই তার এ বিষয়ে পড়াশোনা আছে। এবং আমি বলবো-এ সংজ্ঞার দ্বারা সে ইচ্ছা করেই সত্য গোপন করেছে এবং মানুষকে মিসগাইড করেছে। আসুন আজকে আমরা এ দুটো শব্দ নিয়ে একটু বিশ্লেষণ করি।
(১) মূর্তি:
মূর্তি শব্দটা মূর্ছ ধাতু থেকে উৎপন্ন। মূর্ছা অর্থ মূর্ত। যা মূর্ত হয়েছে তাই মূর্তি। মূর্ছা মানে কিন্তু শুধু অজ্ঞান হওয়া নয়, কোন দশা প্রাপ্তি হওয়া বা কোন বিশেষ দশায় উপনিত হওয়া। মূর্ত অর্থ আকার বা শরীর বা চেহারা ধারণ করেছে এমন । অর্থাৎ মূর্তি বলতে ঐ জিনিসকেই বোঝায় যার আকার বা দেহ আছে।
মূর্তি শব্দটা মূর্ছ ধাতু থেকে উৎপন্ন। মূর্ছা অর্থ মূর্ত। যা মূর্ত হয়েছে তাই মূর্তি। মূর্ছা মানে কিন্তু শুধু অজ্ঞান হওয়া নয়, কোন দশা প্রাপ্তি হওয়া বা কোন বিশেষ দশায় উপনিত হওয়া। মূর্ত অর্থ আকার বা শরীর বা চেহারা ধারণ করেছে এমন । অর্থাৎ মূর্তি বলতে ঐ জিনিসকেই বোঝায় যার আকার বা দেহ আছে।
(২)ভাস্কর্য :
ভাস্কর্য শব্দটা এসেছে ভাস্কর থেকে।
ভাস্কর = ভাস (আলো) + কর অর্থাৎ যা আলো দেয় তাকে ভাস্কর বলে। এজন্য সূর্যের সমার্থক শব্দ ভাস্কর। এখানে আলো জ্ঞান অর্থেও ব্যবহৃত হয়। সে হিসেবে- যা জ্ঞান দেয় তাকেই ভাস্কর বলে।
বিভিন্ন ডিকশনারীতে ভাস্কর্য অর্থ দেয়া আছে খোদাই শিল্পের দ্বারা সৃ্ষ্ট মূর্তি। এ সংজ্ঞাটাও এক হিসেবে সঠিক, অন্য হিসেবে অসম্পূর্ণ।
ভাস্কর্যের সংজ্ঞাটা বুঝতে হলে আপনাদেরকে বিমূর্ত শব্দটার সাথেও পরিচিত হতে হবে। বিমূর্ত মানে যার শরীর, দেহ বা আকার নাই, এমন। যেমন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোন আকার নেই। এটা একটা ধারণা।
ভাস্কর্য শব্দটা এসেছে ভাস্কর থেকে।
ভাস্কর = ভাস (আলো) + কর অর্থাৎ যা আলো দেয় তাকে ভাস্কর বলে। এজন্য সূর্যের সমার্থক শব্দ ভাস্কর। এখানে আলো জ্ঞান অর্থেও ব্যবহৃত হয়। সে হিসেবে- যা জ্ঞান দেয় তাকেই ভাস্কর বলে।
বিভিন্ন ডিকশনারীতে ভাস্কর্য অর্থ দেয়া আছে খোদাই শিল্পের দ্বারা সৃ্ষ্ট মূর্তি। এ সংজ্ঞাটাও এক হিসেবে সঠিক, অন্য হিসেবে অসম্পূর্ণ।
ভাস্কর্যের সংজ্ঞাটা বুঝতে হলে আপনাদেরকে বিমূর্ত শব্দটার সাথেও পরিচিত হতে হবে। বিমূর্ত মানে যার শরীর, দেহ বা আকার নাই, এমন। যেমন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোন আকার নেই। এটা একটা ধারণা।
তাহলে ভাস্কর্যটা কি ?
ভাস্কর্য হচ্ছে ঐ জিনিস, যার মাধ্যমে কোন শিল্পী কোন বিমূর্ত ধারনাকে মূর্তিমান করে। অর্থাৎ কোন মূর্তি থাকবে, যাকে দেখে হয়ত কোন ইতিহাস, ঘটনার কথা মনে পড়বে। অর্থাৎ মূর্তিটি কোন নির্দ্দিষ্ট মেসেজ বহন করবে বা জ্ঞান দিবে।
ভাস্কর্য হচ্ছে ঐ জিনিস, যার মাধ্যমে কোন শিল্পী কোন বিমূর্ত ধারনাকে মূর্তিমান করে। অর্থাৎ কোন মূর্তি থাকবে, যাকে দেখে হয়ত কোন ইতিহাস, ঘটনার কথা মনে পড়বে। অর্থাৎ মূর্তিটি কোন নির্দ্দিষ্ট মেসেজ বহন করবে বা জ্ঞান দিবে।
অর্থাৎ
ভাস্কর হচ্ছে, যিনি কোন বিমূর্ত ধারণাকে ইট,কাঠ,পাথর দিয়ে মূর্ত করেন তাকেই ভাস্কর বলে। এবং ভাস্কর্য হচ্ছে ঐ মূর্তি যা কোন নির্দ্দিষ্ট মেসেজ বহন করে।
ভাস্কর হচ্ছে, যিনি কোন বিমূর্ত ধারণাকে ইট,কাঠ,পাথর দিয়ে মূর্ত করেন তাকেই ভাস্কর বলে। এবং ভাস্কর্য হচ্ছে ঐ মূর্তি যা কোন নির্দ্দিষ্ট মেসেজ বহন করে।
এ হিসেবে মৃণাল হক যে সংজ্ঞা দিয়েছে, তা শুধু মুসলমানদেরই বিভ্রান্ত করেনি, আমি বলবো এ মিথ্যা বলায় সে ভাস্কর্য শিল্পকে কলঙ্কিত করেছে। নিজ ব্যবসার স্বার্থে মিথ্যা বলে শিল্পীর সাথে সাধারণ মানুষের দ্বন্দ্ব তৈরী করেছে, শিল্পীকে ছোট করেছে। আমার মনে হয় অন্যান্য ভাস্করদেরই উচিত মিথ্যাবাদী মৃণালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/)
No comments