মুসলমানরা নিজেদের সমস্যা সমাধানের জন্য অমুসলিমদের দারস্থ হয় কেন ?
গত কয়েকদিন ধরে সারা বিশ্বের মানুষ বসে আছে- রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মিটিং এ কি হয় তা দেখতে।
খবরও দৃশ্যত ভালো। নিউজপোর্টালগুলো খবরের শিরোনাম করলো-
“রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে নিরাপত্তা পরিষদে ‘বিরল ঐকমত্য” (http://bit.ly/2h6DQP2)
“রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে নিরাপত্তা পরিষদে ‘বিরল ঐকমত্য” (http://bit.ly/2h6DQP2)
নিরাপত্তা পরিষদে ঐক্যমত্য হয়েছে, মায়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ হওয়ার ব্যাপারে।
যদিও এতদিনে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়ে গেছে। খালি হয়ে গেছে গ্রামগুলো। কিন্তু সব কিছু শেষ হওয়ার পর মানে ১৮ দিন লেগেছে এই সরল বিষয়টিতে ঐক্যমত হতে। এ থেকে বোঝা যায় নিরাপত্তা পরিষদের রোহিঙ্গাদের জন্য দয়ামায়া কতটুকু।
যদিও এতদিনে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়ে গেছে। খালি হয়ে গেছে গ্রামগুলো। কিন্তু সব কিছু শেষ হওয়ার পর মানে ১৮ দিন লেগেছে এই সরল বিষয়টিতে ঐক্যমত হতে। এ থেকে বোঝা যায় নিরাপত্তা পরিষদের রোহিঙ্গাদের জন্য দয়ামায়া কতটুকু।
যাই হোক, সেই মিটিং এ মিশর দাবি তুলেছিলো-
রোহিঙ্গাদের ভূমি ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে।
কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো পাওয়ার আছে চীনের। সে এক কথায় থামিয়ে দিলো মিশরকে। আলটিমেটলি এত স্বাদের নিরাপত্তা পরিষদের মিটিং এর ফল কি ??
(http://bit.ly/2xnVmnV)
রোহিঙ্গাদের ভূমি ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে।
কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো পাওয়ার আছে চীনের। সে এক কথায় থামিয়ে দিলো মিশরকে। আলটিমেটলি এত স্বাদের নিরাপত্তা পরিষদের মিটিং এর ফল কি ??
(http://bit.ly/2xnVmnV)
যদি জাতিসংঘের তরফ থেকে মায়ানমারে উপর কোন নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব আসতো তবে হয়ত মায়ানমার সেটা কিছুটা হলেও আমলে নিতো। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদ শুধু নিন্দা জানিয়েই খালাস। উল্লেখ্য, মাত্র ১ দিন আগে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ প্রস্তাব জারি করে জাতিসংঘ। কিন্তু মায়ানমারের বেলায় কেবলই তা শুণ্য। (http://bit.ly/2eYck1G)
মিডিয়ায় অবশ্য খবর এসেছে-
জাতিংঘের নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব ঠেকাতে পেছন থেকে কাজ করেছে ভারত। ভারতে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বিষয়টিকে আটকে দেয়। (http://bit.ly/2x4PDTv)
জাতিংঘের নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব ঠেকাতে পেছন থেকে কাজ করেছে ভারত। ভারতে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বিষয়টিকে আটকে দেয়। (http://bit.ly/2x4PDTv)
যদিও মিডিয়ায় আজকে সবাই দেখছে ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ আসছে। (মাত্র ৫৩ টন, বড়জোর দুই ট্রাক !) কিন্তু বাস্তবতার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় কাজ করছে ভারত। তবে আজকে এই ত্রাণ পৌছানোর ফাঁকে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা অন্য কিছু ইঙ্গিত দিলো। তার ভাষায়- “রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে কেউ যেন অপরাধ না ঘটায়”, মানে রোহিঙ্গামুক্তিবাহিনীর হাত যেন অস্ত্র না পৌছায়। তবে মিডিয়ায় এই খবরে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং আমার মনে হয়েছে শ্রিংলার পেছনে আওয়ামী সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দুইহাত জোরমুঠো করে দাড়িয়ে আজ্ঞাবহ প্রমাণ করা। (http://bit.ly/2eXouYy)
গত কয়েকদিন ধরে অবশ্য কফি আনান কমিশনের প্রস্তাবের কথা শুনছিলাম। শুনছিলাম সেটা হলে নাকি রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়ন হবে। কিন্তু আজকে খবর পেলাম সেই আশায়ও গুড়ে বালি। কারণ সেই প্রস্তাব বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে খোদ মায়ানমার সরকারই। তাই মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের কিভাবে জীবন উন্নত করবে সেটাও বুঝতে বেশি কষ্ট করতে হবে না। (http://bit.ly/2y1cltj)
আরেকটি আশার কথা শুনেছিলাম, জাতিসংঘের সেফজোনের কথা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও সেটা বলেছে। কিন্তু আজকে মায়ানমার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে- মায়ানমারে কোন সেফ জোন হতে তারা দেবে না। (http://bit.ly/2eXSRxZ)
আমি বুঝিনা, মুসলমানরা নিজেদের সমস্যা সমাধানের জন্য অমুসলিমদের দারস্থ হয় কেন ?
মুসলমানরা যতদিন নিজ সমস্যা সমাধানে নিজেদের পায়ে দাড়াতে না পারবে, ততদিন মুসলিম নির্যাতনের কোন সমাধান হবে না, এবং মুসলমানরা নির্যাতিত হতেই থাকবে।
মুসলমানরা যতদিন নিজ সমস্যা সমাধানে নিজেদের পায়ে দাড়াতে না পারবে, ততদিন মুসলিম নির্যাতনের কোন সমাধান হবে না, এবং মুসলমানরা নির্যাতিত হতেই থাকবে।
তুরষ্ক, ইরান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালায়েশিয়াসহ যেসব মুসলিম রাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, তারাই শুধু এক হোক না। এক হয়ে প্রত্যেকে কিছু কিছু সেচ্ছাসেবক সেনাসদস্য পাঠাক, স্বাধীনতাকার্মী রোহিঙ্গাদের সাপোর্ট দিক। ব্যস এতটুকু যথেষ্ট।
আমি আপনাদের আবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, এই সমস্যা মায়ানমারে শুরু হলেও তা শুধু সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, পুরো মুসলিম বিশ্বের মধ্যে ছড়িয়ে যাবে। যার লক্ষণ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় আজ দেশটির সুপ্রীম কোর্টে এফিডেভিট দিয়ে বলেছে, ‘রোহিংগাদের সঙ্গে সন্ত্রাসের যোগসূত্র রয়েছে এবং তারা ভারতের জন্য নিরাপত্তা হুমকি।’ তার মানে এবার ভারত থেকে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা তাড়ানো হবে।
কি বুঝলেন ,
ওরা ওরা সব সময় এক। আর আপনি আছেন কি না তাদেরকে মুরব্বী মানতে !!! (http://bit.ly/2x2QEtq)
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/
ওরা ওরা সব সময় এক। আর আপনি আছেন কি না তাদেরকে মুরব্বী মানতে !!! (http://bit.ly/2x2QEtq)
---------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon Chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
--আমার ব্যাকআপ পেইজ- Noyon Chatterjee 6 (https://www.facebook.com/202647270140320/
No comments