চট্টগ্রামকে পৃথক করার জন্য উপজাতি-বৌদ্ধগোষ্ঠীগুলোর সাথে হিন্দুদের মাস্টারপ্ল্যান
আলোচনা করছিলাম- বাংলাদেশের সম্পদসমৃদ্ধ চট্টগ্রাম বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিতে আমেরিকা (ও তার সহযোগী ভারত) কাকে কাকে গুটি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, তা নিয়ে।
-প্রথমে বলেছি, নিয়ন্ত্রণহীন রোহিঙ্গা। যদিও বর্তমানে সেনাবাহিনী তাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে।
-দ্বিতীয়ত, পার্বত্য এলাকার উপজাতি বৌদ্ধরা। এদেরও চোখে চোখে রাখার দায়িত্ব সেনাবাহিনী নিয়েছে।
-তৃতীয় যে দলটির কথা বলবো- তারা হলো হিন্দু জাতিগোষ্ঠী। এরা এখনও কারো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ নিয়ে হিন্দুদের আলাদা প্ল্যান আছে।
আপনারা কথিত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব) শচীন কর্মকারের নাম শুনে থাকবেন। এই লোকটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুনতাসির মামুন আর শাহরিয়ার কবিরের মত চেতনাবাজদের পাশেই বসে থাকে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, ২০০৭ সালের ২৭শে জুলাই আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র কাছে এই ব্যক্তি মেইল করে চট্টগ্রাম বিভাগ নিয়ে হিন্দুদের পৃথক স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র তৈরীর জন্য সাহায্য চায়, যাকে সে তুলনা করে আরবের বুকে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল জন্ম নেয়ার সাথে। এ সম্পর্কে ২০০৭ সালের ১২ই নভেম্বর দৈনিক আমারদেশ পত্রিকায় খবর আসে-
“বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের আলাদা রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা চেয়ে সিআইএর কাছে চিঠি দিয়েছেন মাইনরিটি কংগ্রেস পার্টির আন্তর্জাতিক সম্পাদক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন শচীন কর্মকার। ভারতের পূর্ব সীমানা সংলগ্ন বাংলাদেশ ভুখন্ডে ইরাকের কুর্দিস্তানের অনুরূপ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের জন্য একটি পৃথক স্বায়ত্তশাসিত সংখ্যালঘু এলাকা প্রতিষ্ঠায় মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র সহায়তা চেয়েছে দলটি। সাবেক ক্যাপ্টেন শচীন কর্মকার গত ২৭ জুলাই ২০০৭ এক ই-মেইল মেসেজের মাধ্যমে সিআইএ পরিচালকের কাছে এই সাহায্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদের বিরুদ্ধে সেফটিক ভালভ। তাই আজ আমাদের সাহায্য করো, আগামীকাল আমরা তোমাদের সহায়তা করবো। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে নাৎসি জার্মানির পরাজয় ও মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল রাষ্ট্রের সৃষ্টি। গত প্রায় ৬০ বছর যাবৎ এই ইসরাইল মৌলবাদী আরব রাষ্ট্রগুলো ও গণতান্ত্রিক পাশ্চাত্যের মধ্যে সাফল্যজনকভাবে একটি বাফার রাষ্ট্র হিসেবে কাজ করে আসছে। যদি ইসরাইল না থাকত, তাহলে এর মধ্যেই আরবরা পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে আরেকটি ক্রুসেড বা মহাযুদ্ধ চাপিয়ে দিত।
ই-মেইল বার্তায় আরও বলা হয়, সিআইএর সামনে বাংলাদেশে দুটি পথ রয়েছে। এ দুটি পথ হচ্ছে- হয় বাংলাদেশকে বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের জন্য চাপ দাও, অথবা কুর্দিস্তানের মতো পূর্ব ভারত সীমান্ত ঘেঁষে সংখ্যালঘুদের জন্য একটি আলাদা স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র গঠন কর। যদি এই দল ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে রাজনৈতিক ও আর্থিক সাহায্য পায়, তাহলে তারা সহজেই এটা পালন করেতে পারবে। (আমার দেশ, ১২ নভেম্বর ২০০৭)
বছর খানেক আগে চট্টগ্রামের এক ছেলের ফেসবুক আইডিতে চট্টগ্রাম নিয়ে হিন্দুদের একটি প্ল্যান পেয়েছিলাম। জানি না বিষয়টি সত্য না মিথ্যা। সে সময় সেভ করা স্ট্যাটাসটি দিলাম, চট্টগ্রামবাসী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বিষয়টির সত্যতা যাচাই করবেন-
“……..প্রায় ২৫ বছর আগেই হিন্দুরা পরিকল্পনা করে যে চট্টগ্রাম শহরের সদরঘাট-নিউমার্কেট-পাথরঘাটা
তখন থেকে তারা ওই রোডের আশেপাশের এলাকাতে কোন মুসলমানের বাসা-বাড়ি,দোকান বা ব্যবসা-বাণিজ্য খালি হলে হিন্দুরা তা নিজেরা নিয়ে নিতে শুরু করে। নিকট অতীতে কোতোয়ালী থানাধীন এলাকাতে অনেক মুসলমান ছিলো,বর্তমানে তা ক্রমশ কমে গিয়েছে। হিন্দুরা চাচ্ছে যে, চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালী থানায় তারা সংখ্যাগুরু হবে। ফলে চট্টগ্রাম শহরের আদালত,চউক (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ভবন, সিসিক ভবন তাদের আওতাধীন থাকবে। শহরের সবচেয়ে প্রভাবশালী থানা কোতোয়ালী তাদের আওতায় থাকলে জনপ্রতিনিধি, ওসি, ওয়ার্ড কমিশনারও তাদের হবে। ফলে তাদের রামরাজত্ব কায়েমে বেশ সুবিধা হবে। সদরঘাট টু মুরাদপুর রোড তাদের দখলে থাকলে চট্টগ্রাম শহর মাঝখানে কার্যত ভাগ হয়ে যাবে ।
চট্টগ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলো হলো সদরঘাট-আইস ফ্যাক্টরীর আংশিক, অভয়মিত্র ঘাট, পাথরঘাটা, নন্দনকানন, হাজারীগলি, টেরীবাজারের ১টা পাড়া, রাজাপুকুর লেন, আন্দরকিল্লা সাবেরিয়া, দিদার মার্কেট, দেওয়ানবাজার, রহমতগঞ্জ, জামালখান, মোমিন রোড, আসকার দিঘীর পাড়, চকবাজার কাঁচা বাজারের পাশে হিন্দু পাড়া, ডিসি রোডে কিছু হিন্দু বসতি। চট্টগ্রাম শহরের ৯০% বেশী হিন্দু ওই বিস্তীর্ণ AREA তে বাস করে,আনুমানিক ৫ লক্ষের মতো হিন্দুর বাস। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শহরের অন্য প্রান্তের বিচ্ছিন্ন হিন্দুরাও কোতোয়ালী থানায় চলে আসছে। কোতোয়ালীতে মুসলমানদের জায়গায় ডেভেলপার কোম্পানির ফ্ল্যাটও কিনছে সব হিন্দুরা।
কোতোয়ালী থানায় আছে জহরলাল হাজারী ও শৈবাল দাশ সুমনের হিন্দু ক্যাডার বাহিনী। দেওয়ানবাজার, পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গীবাজারে রয়েছে প্রভাবশালী দোভাষ পরিবার। চট্টগ্রামের হিন্দুদের হাতে পিস্তল, কিরিচ, ছুরি, ধামা সহ নানারকমের মারণাস্ত্রের কোষাগার আছে। রহমতগঞ্জে জেএম সেন হল এলাকাতে তাদের গোপন অস্ত্রাগার আছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সূর্যসেনের সহযোগী বিনোদ বিহারী চৌধুরীর নিজ বাসাও ছিল রহমতগঞ্জে। কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগার বা সুবিধামতো জায়গায় অস্ত্র থাকার কারণেই অস্ত্র নিয়ে তাড়াতাড়ি শো-ডাউন করতে পেরেছে উক্ত এলাকার হিন্দু ক্যাডাররা। ২০১২ সালে পাথরঘাটায় এবং ২০১৩ সালে দিদার মার্কেটে হিন্দুরা মসজিদে হামলা চালিয়েছিলো।……..”
আমার অনুমান, চট্টগ্রামকে পৃথক করার জন্য শুধু উপজাতি-বৌদ্ধগোষ্ঠীগুলো যথেষ্ট নয়, এর সাথে হিন্দুদের থাকা প্রয়োজন। পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপজাতি অধ্যুষিত বলে আলাদা করা গেলেও চট্টগ্রাম জেলাকে পৃথক করতে হবে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার কথা বলেই। সাম্প্রতিক সময়ে মায়ানমারে মুসলিম গণহত্যায় হিন্দু গণকবর আবিষ্কারের খবর দিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দু-বৌদ্ধ ইউনিটি করার আভাস মিলছে। একইসাথে বাংলাদেশের হিন্দুদের ইসরাইল কানেকশন সেই আশঙ্কা আরো বৃদ্ধি করে দেয়।
সবার শেষে ‘নয়ন সাহা’ নামক এক হিন্দু ছেলের ফেবুস্ট্যাটাস দিলাম। এই পুচকে হিন্দু সেই মাস্টারপ্ল্যানের গন্ধ পেয়ে চট্টগ্রামকে হিন্দুদের জন্য পৃথক ভেবে ফ্যান্টাসিতে ভুগছে। (http://archive.is/O14NX)।
সবশেষে বলবো, হিন্দুরা এখনই এই প্ল্যানের সফলতার মুখ দেখতে তা নয়। এগুলো তাদের মাস্টারপ্ল্যান, ১০-২০-৩০ বছর পর সফল হবে। কিন্তু বাংলাদেশকে অখণ্ড রাখার জন্যও মুসলমানদেরও তো প্ল্যান নিতে হবে। সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সঙ্কট থেকে শিক্ষা নিয়ে মুসলমানদের সেই ভাবনার সময় এসেছে।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
No comments