Header Ads

ad728
  • Breaking News

    সুবির ভৌমিকের ভুয়া নিউজ থেকে নতুন ষড়যন্ত্রের জন্য প্রস্তুত হোন


    গতকাল “কেন সুবীর ভৌমিক শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা নিয়ে ভুয়া খবরটি ছড়ালো?” শিরোনামে পোস্ট (http://bit.ly/2y5yGdi) লেখার পর, অনেকেই কমেন্ট করেছে- “রোহিঙ্গারা আমেরিকার মাধ্যমে স্বাধীন হয়ে গেলে সমস্যা কি ? তারা স্বাধীন ভূমি পেলেই হলো।”
    আসলে যারা এ ধরনের কমেন্ট করছে তারা মূল বিষয়টি বুঝতে পারেনি। আমেরিকা যদি রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রন ন্যায় তবে শুধু রাখাইন নয় পুরো আরাকান স্বাধীন হবে। রাখাইন আর আরাকান আমি আলাদা করছি এ কারণে- রাখাইন বলতে আমি শুধু মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যকেই বুঝিয়েছি। কিন্তু আরকান বলতে বুঝিয়েছি প্রাচীন আরকান রাজ্য। মানে রাখাইন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ফেনী নদী পর্যন্ত অর্থাৎ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার জেলার পৃথকীকরণ ভূমি। বহু আগে আমি বলেছি (http://bit.ly/2jXiOU1) রাখাইনে যে পরিমাণ খনিজ সম্পদ মজুদ আছে তার থেকে বহুগুন বেশি আছে বাংলাদেশ সীমান্তে। তাই বিদেশী শক্তিগুলো যদি এ অঞ্চলে সম্পদের লোভে আসে তবে শুধু রাখাইন নিয়েই চিন্তা করবে না, বাংলাদেশের সীমানার সম্পদ নিয়েও চিন্তা করবে। এবং সে ক্ষেত্রে তারা উভয় অংশই (বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্পদসমৃদ্ধ অঞ্চল) নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেস্টা করবে। এ কারণে রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ আমেরিকার হাতে তুলে না দেয়াই ভালো। (বি:দ্র: বর্তমানে ভারত আমেরিকার উইং হিসেবে কাজ করছে)

    এরপর আরেকজন কমেন্ট করেছেন- বড় বড় বিশ্বশক্তিগুলো আমেরিকার সাথে লাগতে যায় না, বাংলাদেশ কিভাবে আমেরিকার বিরুদ্ধে লাগতে যাবে ?
    এর উত্তরে বলতে হয়, আমেরিকা কিন্তু এ অঞ্চলে সেনাবাহিনী নিয়ে আসবে না, তারা কাউকে গুটি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করবে। এবং সেটা হতে পারে রোহিঙ্গা। আমেরিকার সাথে যুদ্ধ করার দরকার নাই। আমেরিকা যাকে গুটি হিসেবে ব্যবহার করবে তার নিয়ন্ত্রণটা বাংলাদেশ নিয়ে নিলেই হলো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ত্রাণ কার্যক্রম হাতে নেয়ার কারণে সম্ভবত তাদের প্রথম স্টেপটা হাতছাড়া হয়ে গেছে। আমেরিকার একটি পলিসি হচ্ছে, তারা ত্রাণ দেয়ার নাম করে গোয়েন্দা পাঠিয়ে নিজস্ব পটভূমি প্রস্তুত করে। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেয়ার নাম করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা আসতো, যারা রোহিঙ্গাদের আমেরিকার জন্য ব্যবহারে উপযোগী করতো। কিন্তু সেনাবাহিনী বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ নেয়ায় তারা এখন আর পুরোপুরি সফল হবে না। সত্যি বলতে আমেরিকার মত গুন্ডা রাষ্ট্রকে ভয় পেয়ে গর্তে লুকালে চলবে না, তাকে স্ম্যার্ট পলিসিতেও হ্যান্ডেলও করতে হবে। আমেরিকা বড় রাষ্ট্র বলে আমরা ভীতুর মত চুপ করে বসে থাকবো, আর তারা বাংলাদেশ দখল করতে বিভিন্ন স্টেপ নেবে, এটা তো কোন সুস্থ লক্ষণ হতে পারে না।

    রোহিঙ্গা ছাড়া আমেরিকা আর কোন গুটি আছে কি ?
    আছে । পাহাড়ে বিভিন্ন উপজাতি বৌদ্ধগোষ্ঠীগুলো। এরাও এই অঞ্চলটা স্বাধীন করে জুম্মল্যান্ড নামক রাষ্ট্র গড়তে চায়। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোদের এদের মদদ দিচ্ছে। সিএইচটি কমিশন নামক একটি সংগঠন বহুদিন ধরে তাদের পেছনে কাজ করে যাচ্ছে। এই সিএইচটি কমিশনে মূলে আছে সুলতানা কামাল চক্রবর্তী, জাফর ইকবাল, জাফর ইকবালের বউ ইয়াসমিন হক, ড. কামাল হোসেনের মেয়ে সারা হোসেন (ইহুদী বার্গম্যানের বউ), রাজাকার ত্রিদিব রায়ের আত্মীয় খুশি কবির, টিআইবির ইফতেখারুজ্জামান, প্রফেসার স্বপন আদনান। আরো আছে মিখায়েল সি. ভন ওয়াল্ট ভন প্রাগ নামক এক ব্যক্তি যে এর আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুরকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য কাজ করেছে। এছাড়া দালাইলামার সাথে মিলে চীন থেকে তীব্বতকে পৃথক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সে। মূলত, মিখায়েল সি. ভন ওয়াল্ট ভন প্রাগ একজন পাক্কা সিআইএ’র এজেন্ট। এছাড়া আছে এরিক এভাব্যুরি। সে হচ্ছে সিএইচটি কমিশনের কো-চেয়ারম্যান, ব্রিটিশ আইন সভার সদস্য। তার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে গঠিত পূর্ব-তিমুর এবং দক্ষিণ সুদান পৃথক রাষ্ট্র গঠনের পেছনে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগ রয়েছে।
    (সিএইচটি কমিশনের মেম্বারদের লিঙ্ক- http://www.chtcommission.org/page.php?idn=10)

    এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন, অপেক্ষা থাকুন......




    ------------------------------------------------------------------

    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ-  Noyon Chatterjee 6
    (https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728