মুসলমান দেশে ভিন্ন ভেক ধরে মুসলমানদের অনুষ্ঠানে বাধা দেয়ার পায়তারা করছে সুপ্রীতি ধর
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের লেখা...
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে,
মাস ৬ আগে আমি সুপ্রীতি ধর দিদি’র সাফল্য কামনা করে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সেখানে তার ওয়েবসাইট ওয়েমচ্যাপ্টার থেকে তার মোবাইল নম্বরও সংযুক্ত করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় সুপ্রীতি দি আমাকে ভুল বুঝলেন, বিডিনিউজ২৪ সাংবাদিককে দিয়ে নিউজ করালেন, “সাংবাদিক সুপ্রীতি ধরকে দেখে নেওয়ার হুমকি”। ঐ খবরে সুপ্রীতি দি বললেন, আমার সম্পর্কে নাকি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে জানানো হয়েছে এবং আমার বিরুদ্ধে জিডি করা হবে। ইত্যাদি। (http://goo.gl/28dgs4)
যাই হোক, আমি অবশ্য সুপ্রীতি দি’র আচরণে কষ্ট পাইনি। কেননা সুপ্রীতি দি’র মত অনেক নারীর বুদ্ধি মাথায় নয়, হাটুর নিচে থাকে। তবে আমি বিশ্বাস করেছিলাম গোয়েন্দা সংস্থার পুরুষটিকে, কেননা সে আমার স্ট্যাটাসকে কখনই খারাপ হিসেবে গণ্য করবে না। তাই চিন্তার কোন কারণ দেখিনি।
তবে সুপ্রীতি দি’র কষ্ট দেখে আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। সুপ্রীতি দি বলেছিলো- তিনি নাকি আমার পোস্ট নিয়ে খুব মানসিক যন্ত্রনায় ভুগছেন, তার পরিবার থেকেও চাপে আছেন। সত্যিই বলতে নারী জাতির ব্যাপারে আমি খুবই দুর্বল, আমি বিশ্বাস করি পুরুষ জাতির গাইডেন্স ছাড়া, সাহায্য ছাড়া নারী জাতি এক পাও হাটতে পারে না। সেখানে আমার দ্বারা সুপ্রীতি দি’র মত এক নারী কষ্ট পেয়েছেন, এটা ভাবতেই আমার বুকটা ছিড়ে খান খান হয়ে যাচ্ছিলো।
আজকে হঠাৎ করে দেখলাম, সুপ্রীতিদি তার ফেসবুক পেইজে একটি লেখা শেয়ার করলেন। লেখাটি তার ওয়েম্যান চাপ্টারের সাইট থেকে নেওয়া। লেখার হেডিং “STOP Barbarism Showcasing the sacrifice of animal"। লেখাটিতে মুসলমানদের কোরবানী ঈদে পশু কোরবানী করাকে বর্বর বলে দাবি করা হয়েছে। (https://goo.gl/I8MJYb)
মুসলমানদের পশু কোরবানী বর্বর না সুর্বর সেটার দ্বন্দ্বে আমি যাবো না সুপ্রীতি দি। শুধু এতটুকু বলবো, আপনার মত এক হিন্দু কায়স্থ নারী, কিভাবে অন্যধর্মের ধর্মীয় উৎসব বন্ধ করার জন্য লেখা শেয়ার করতে পারে ? এটার মধ্যে কি আপনি সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ পাননা ? অথচ কিছুদিন আগেই তো আপনাদের নৃশংস পাঠা বলি উৎসব গেলো। কৈ তখন সেই পাঠাবলি বন্ধ করতে তো আপনার লেখা দেখলাম না ?
আমি জানি আপনি হয়ত নিজপক্ষ সাপোর্ট করে বলবেন, “কি যে বলেন দাদা ! পাঠাবলী হলো ‘কালী’ নামক এক নারীর প্রতিশোধমূলক উৎসব। এর দ্বারা পুরুষের উপর নারীর প্রভাব প্রকাশ পায়। কালীর পায়ের নিচে থাকে পুরুষ, আর গলায় থাকে পুরুষের মাথার খুলি। কোমড়ে থাকে হাতের কাটা কব্জি। কালী ইজ রিয়েল ফেমিনিস্ট আইডল।”
তবে লেখার শেষে, একটা অনুরোধ করবো দিদিকে। দয়া করে এসব ফেমিনিজম আর হিউম্যানিজম খোলস ছাড়ুন। প্রকাশ্যে বলে দিন আপনি হচ্ছেন, বাংলাদেশের স্বাধ্বী ঋতাম্বরা, উমা ভারতী কিংবা দূর্গা বাহিনীর সদস্য। মুসলমান দেশে ভিন্ন ভেক ধরে মুসলমানদের অনুষ্ঠানে বাধা দেয়ার পায়তারা করছেন। তাই বলবো- দয়া করে সাম্প্রদায়িকতা ছাড়ুন, অপরের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিবেন না। যদি সেটা না পারেন, তবে দয়া করে ঐপার চলে যান, সাম্প্রদায়িক দুর্গা বাহিনীর নেতৃত্ব কাধে তুলে নিন, কাজে লাগবে।
No comments