প্রসঙ্গ : পাকিস্তানী ফেসবুক পেইজে বিতর্কিত ভিডিও ও বাংলাদেশের চেতনা অনুভূতি
গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের কথা। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জাতীয় মহাসচিব রাম মাধব বললো- “ভারত-পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ফের একদেশে পরিণত হবে। প্রতিষ্ঠিত হবে ‘অখণ্ড ভারত’।”(http://bit.ly/2zTjblD)
তার এ ধরনের বক্তব্যের পর আমার ধারণা ছিলো বাংলাদেশ হয়ত এর প্রতিবাদ জানাবে। কারণ ‘বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভূক্ত করা হবে’, এ ধরনের ঘোষণা সত্যিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য চরম হুমকি স্বরূপ। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম, আওয়ামীলীগ অথবা কোন চেতনাবাজ ব্যক্তি বা সংগঠন কেউ এর প্রতিবাদ করলো না। মনে হলো- বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ভারতের সাথে মিশে যাবে, এটা খুব স্বাভাবিক কথা। এতে তারা দোষের কিছু দেখে না।
তবে আমি অবাক হয়েছি, এ ধরনের একটি বক্তব্য দেয়ার পর সেই রাম মাধব-ই বাংলাদেশে আসলো এবং তাকে ভিআইপি মর্যাদা দেয়া হলো এবং শেখ হাসিনার সাথে সে ঘনিষ্ঠ মিটিংও করলো ।http://bit.ly/2xDpf0L)
এর দ্বারা প্রমাণিত
“বাংলাদেশ ভারতের অন্তর্ভূক্ত হবে”এটা বলে অন্যায় করেনি রামমাধব বরং বাংলাদেশের হর্তাকর্তাদের কাছে প্রশংসিত-ই হয়েছে।
আজকে একটা খবর দেখলাম, পাকিস্তান অ্যাফেয়ার্স নামক একটি অজানা ফেসবুক পেইজ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে নাকি বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে না বলে জিয়াউর রহমানকে বলা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে সাথে আওয়ামীলীগ ও চেতনাবাজগোষ্ঠী পাগল হয়ে উঠেছে। পারলে তারা পাকিস্তানের সাথে একই যুদ্ধ শুরু করে। (http://bit.ly/2hqxqaz)
গুরুজনরা বলে- “অতীত নিয়ে পড়ে না থেকে, ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাও।”
স্বাধীনতার ঘোষক কে ছিলো, এটা নিয়ে পাকিস্তানের একটি অজানা ফেসবুক পেইজ কি স্ট্যাটাস দিলো, সেটার থেকে বিজেপি’র শীর্ষ নেতা বাংলাদেশের দখলের হুমকি দিয়েছে, এটা অনেক অনেক বড় বিষয়। কারণ অতীত যা চলে গেছে, কিন্তু এখন ভবিষ্যতের ঘটনায় আমাদের ভূক্তভোগী হতে হবে।
সম্প্রতি এশিয়ার রাজনীতিতে নুতন মেরুকরণ হয়েছে।
একদিকে আমেরিকা-ভারত অন্যদিকে পাকিস্তান-চীনকে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশও চীনের দিকে ঝুকে গেছে, এতে ভারতের সাথে কিছু বিষয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছে। বাংলাদেশকেও দেখা গেছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাকিস্তানের সাথে যোগাযোগ করতে।
আমার মনে হয়,
- যে ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঘোষণাকে নতুন করে স্বীকৃতি দিয়ে নতুন করে তর্ক তৈরী করছে,
-যারা আড়াল থেকে বিতর্কিত ভিডিও বানিয়েছে
- বাংলাদেশে যাদের এটা নিয়ে নতুন করে চেতনা জাগ্রত হয়েছে,
তারা সবাই একই পথের পথিক। সবার উদ্দেশ্য এক – বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক খারাপ করা।
তবে শুনেছি-
শেখ হাসিনা নাকি কারো সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ করতে চান না। তার মতে- যুদ্ধ পরিস্থিতিও চলবে, সম্পর্ক ও চলবে। সম্প্রতি মায়ানমার এত অন্যায় করার পরও ঐখান থেকে চাল ক্রয় করতে গিয়েছে সরকারের মন্ত্রী কামরুল।
তাই এইসব ভুয়া ভিডিও নিয়ে, যার যা খুশি বলুক। কিন্তু বাংলাদেশ-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রয়াস যেন অব্যাহত থাকে, এটাই প্রত্যাশা।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments