আমার দৃষ্টিতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকা ও চীনের বর্তমান অবস্থান
রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় আমেরিকা ও চীনের বিভিন্ন অবস্থান বর্ণনা করা হচ্ছে। টকশো গুলোতেও একেক জন একের কথা বলছে। ফেসবুকেও অনেকে কথা বলতে চেয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, এই দুই পরাশক্তির অবস্থান যেভাবে বর্ণনা করা হচ্ছে, তার প্রত্যেকটা ‘মিস লিডিং’ এবং কোন এক পক্ষের উদ্দেশ্য প্রণদিত। মানুষ হয়ত মিডিয়ায় সে সব খবর পড়েই এই দুই পরাশক্তির প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে ভুল ধারণা করছে এবং ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। আমার এ পোস্ট, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকা ও চীন কোন অবস্থানে আছে সেটা বর্ণনা করার জন্যই।
আমেরিকা :
অনেকেই হয়ত বলেছে, আমেরিকা রোহিঙ্গাদের পক্ষে আছে। তারা এ অঞ্চলে আসলে রোহিঙ্গাদের সাহায্য দেবে, আরাকানের স্বাধীনতা দেবে, মায়ানমারকে ভাগ করে দেবে।
কিন্তু রাজনীতি সূত্রগুলো তা বলছে না। বলছে ভিন্ন কথা। বর্তমানে আমেরিকা মায়ানমারের সিভিল সরকারের পক্ষে, কিন্তু সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। সুকি ১০০% আমেরিকার লোক। দীর্ঘ ৩০ বছর আমেরিকার ব্যাকিং এর সুকি এ পজিশনে এসেছে। অনেক দূর এসেছে, তবে একটু বেধে আছে বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধানকে দিয়ে, যাকে নিয়োগ করে গিয়েছিলো চীনপন্থী সামরিক জান্তার প্রধান থান শয়ে। বর্তমানে আমেরিকা রোহিঙ্গা ইস্যুতে যতগুলো উদ্যোগ নিচ্ছে, সবগুলো বার্মার সামরিক প্রধানকে সরানো অথবা মার্কিনপন্থী সেনাপ্রধান আনার জন্য। এই স্বার্থটুকু হয়ে গেলে আমেরিকার আর কোন ঝামেলায় যাবে বলে মনে হয় না। এ সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্র মনে করে মায়ানমারের সামরিক নেতৃত্বই রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের জন্য দায়ী।” (http://bit.ly/2zlwVJx)
এ অবস্থায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকার প্রকৃত অবস্থান-
অনেকেই হয়ত বলেছে, আমেরিকা রোহিঙ্গাদের পক্ষে আছে। তারা এ অঞ্চলে আসলে রোহিঙ্গাদের সাহায্য দেবে, আরাকানের স্বাধীনতা দেবে, মায়ানমারকে ভাগ করে দেবে।
কিন্তু রাজনীতি সূত্রগুলো তা বলছে না। বলছে ভিন্ন কথা। বর্তমানে আমেরিকা মায়ানমারের সিভিল সরকারের পক্ষে, কিন্তু সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। সুকি ১০০% আমেরিকার লোক। দীর্ঘ ৩০ বছর আমেরিকার ব্যাকিং এর সুকি এ পজিশনে এসেছে। অনেক দূর এসেছে, তবে একটু বেধে আছে বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধানকে দিয়ে, যাকে নিয়োগ করে গিয়েছিলো চীনপন্থী সামরিক জান্তার প্রধান থান শয়ে। বর্তমানে আমেরিকা রোহিঙ্গা ইস্যুতে যতগুলো উদ্যোগ নিচ্ছে, সবগুলো বার্মার সামরিক প্রধানকে সরানো অথবা মার্কিনপন্থী সেনাপ্রধান আনার জন্য। এই স্বার্থটুকু হয়ে গেলে আমেরিকার আর কোন ঝামেলায় যাবে বলে মনে হয় না। এ সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্র মনে করে মায়ানমারের সামরিক নেতৃত্বই রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের জন্য দায়ী।” (http://bit.ly/2zlwVJx)
এ অবস্থায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকার প্রকৃত অবস্থান-
ক) আমেরিকা রোহিঙ্গাদের পক্ষে নয়। দেশটি দুই মাস পরেও নিশ্চিত হতে পারে নাই- রোহিঙ্গাদের উপর আদৌ জাতিগত নিধন হয়েছিলো কি না । (http://reut.rs/2iNmEPk)
খ) আমেরিকা রোহিঙ্গাদের উপর ভর করার চেষ্টা করবে শুধু তাদের স্বার্থটুকু হাসিলের জন্য। আপাতত তাদের স্বার্থ হলো বার্মীজ সরকারের সেনাসমর্থিত অংশটিকে চাপ দিয়ে সরিয়ে দেয়া। ব্যস এতটুকু হলেই যথেষ্ট। দেখা যাবে তখন আমেরিকা চুপ হয়ে গেছে। আর দেশটির সিভিল সরকার (সুকি) তো তাদেরই লোক।
গ) “আমেরিকা এ অঞ্চলে এসে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করবে, তাদের স্বাধীনতা দিবে”, এগুলো সম্পূর্ণ অবান্তর চিন্তা। আমেরিকা কখনই তা করবে না। সর্বোচ্চ করলে হয়ত কুর্দিদের মত কিছু অস্ত্র সাপ্লাই দিয়ে সেনা সমর্থিত সরকারের উপর প্রেসার তৈরী করতে পারে। এর বেশি নয়।
ঘ) আমেরিকা কখনই আরাকানকে ভাঙ্গতে চায় না। চায় মিয়ানমারের সাথে লেগে থাকুক। নয়ত তাদের ‘পিভট টু এশিয়া’ নীতি সফল হবে না। যদি কখনও ভাঙ্গতে চায়ও, তবে সেটা অবশ্যই ‘মুসলিম রোহিঙ্গা’দের দিয়ে নয়। আরাকান লিবারেশন আর্মি বা কোন বৌদ্ধ সংগঠন দিয়ে করানো হবে। উল্লেখ্য, আমেরিকা দীর্ঘ মেয়াদী প্ল্যান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগকে পৃথক বা স্বায়ত্বশাসিত করা। সে ক্ষেত্রে দু’প্রান্তে সমগোত্রীয়দের করার চেষ্টা হলেও হতে পারে।
ঙ) আমেরিকার বর্তমান স্ট্র্যাটেজি রোহিঙ্গাদের পক্ষে নয়, বরং বার্মার সেনা সমর্থিত সরকার অংশের বিরুদ্ধে। তাই শুধু শুধু রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকাকে ত্রাণকর্তা মনে করা বোকামি।
চীন এর অবস্থান :
মিডিয়াতে শুরু থেকে প্রচার করা হচ্ছে চীন নাকি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে, গণহত্যা ও দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পক্ষে। কিন্তু এ ধরনের কথা সম্পূর্ণ অবান্তর । এর স্বপক্ষে কোন ভালো কোন ডকুমেন্ট কেউ দেখাতে পারবে না। বস্তুত চীন রোহিঙ্গাদের পক্ষেও না, বিপক্ষেও না। তারা রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর (যেমন: জাতিসংঘ) এ অঞ্চলে প্রবেশের ঘোরবিরোধী। আমেরিকা ও তার সহযোগী ব্যতিত কোন মুসলিম দেশ যদি রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে আসে তবে চীনের বিরোধীতা করার কোন কারণ দেখি না।
মিডিয়াতে শুরু থেকে প্রচার করা হচ্ছে চীন নাকি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে, গণহত্যা ও দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পক্ষে। কিন্তু এ ধরনের কথা সম্পূর্ণ অবান্তর । এর স্বপক্ষে কোন ভালো কোন ডকুমেন্ট কেউ দেখাতে পারবে না। বস্তুত চীন রোহিঙ্গাদের পক্ষেও না, বিপক্ষেও না। তারা রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর (যেমন: জাতিসংঘ) এ অঞ্চলে প্রবেশের ঘোরবিরোধী। আমেরিকা ও তার সহযোগী ব্যতিত কোন মুসলিম দেশ যদি রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে আসে তবে চীনের বিরোধীতা করার কোন কারণ দেখি না।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের বক্তব্য :
চীনের ভাইস মিনিস্টার লি জুন বলেছে, তারা রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমস্যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত রয়েছেন। তারা এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ উপায়ে স্থায়ী সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকারকে বলেছে। চীন জানিয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে মিয়ানমার ফিরে যেতে পারে এজন্য তারা আন্তরিকভাবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে।” (http://bit.ly/2gPduxk)। চীনের রাষ্ট্রদূত নিজেই বলেছে- রোহিঙ্গা ইস্যুতে অস্থিতিশীলতা তাদেরও সমস্যা হচ্ছে। কারণ রাখাইনে তাদের প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে। (http://bit.ly/2zlTkpV)
চীনের ভাইস মিনিস্টার লি জুন বলেছে, তারা রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমস্যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত রয়েছেন। তারা এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ উপায়ে স্থায়ী সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকারকে বলেছে। চীন জানিয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে মিয়ানমার ফিরে যেতে পারে এজন্য তারা আন্তরিকভাবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে।” (http://bit.ly/2gPduxk)। চীনের রাষ্ট্রদূত নিজেই বলেছে- রোহিঙ্গা ইস্যুতে অস্থিতিশীলতা তাদেরও সমস্যা হচ্ছে। কারণ রাখাইনে তাদের প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে। (http://bit.ly/2zlTkpV)
আজকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে আমেরিকা থেকে দূত আসার কথা। কয়েকদিন পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও আসবে। এরপর পোপও আসবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশেও একটি গোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে আমেরিকাকে বন্ধু বানিয়ে ঘরে ঢোকানোর জন্য। জনগন ও সরকার এ ব্যাপারে সচেতন ও সোচ্চার না হলে বড় কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য ডেকে আনতে পারে বড় ধরনের বিপদ।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments