Header Ads

ad728
  • Breaking News

    আমেরিকা সারা বিশ্ব জুড়ে মুসলমানদের যতই নির্যাতন করুক, মুসলমানরা ঐ আমেরিকাকেই আপন মনে করে!!

    কয়েকদিন আগে একজন ফেসবুকে কমেন্ট করলো-
    “ভাই, রোহিঙ্গা সমস্যায় মুসলমান রাষ্ট্রের সরকারদের দ্বারা কিছু হবে না। এ ইস্যুতে যা করার পশ্চিমারাই করছে। তাই এ সমস্যা সমাধানে ওদেরকেই (মানে আমেরিকাকে) চাইতে হবে।”
    কি সুন্দর কথা দেখেছেন !!!
    মুসলমানদেশগুলো একেবারে শূণ্য বানিয়ে আমেরিকাকে সব কিছুর কৃতিত্ব দেয়া হচ্ছে। ব্যস এবার তবে আমেরিকাকে ডেকে নিয়ে আসো । কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুত মুসলমান দেশগুলো কি কিছুই দেখায় নি ??
    রোহিঙ্গা ইস্যুর শুরুর পর থেকে প্রত্যেক মুসলিম রাষ্ট্রেই ব্যাপক প্রতিবাদ-সমাবেশ তো হয়েছে। তবে কার্যকরী ভূমিকা বলতে যেটা আমরা বুঝি, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
    ১) তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুরু থেকেই সরব ছিলেন। অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে সরাসরি ফোন করে সবাইকে সবাইকে জাগিয়ে তুলেছেন। ত্রাণ ছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগীতা দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়ে রেখেছেন। তিনি এই ইস্যুতে সব মুসলিমদেশকে একত্র হওয়ারও আহবান জানান। (http://bit.ly/2yYFsl8)
    ২) মালয়েশিয়ায় আন্তজাতিক গণআদালতে মিয়ানমার সরকারকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আইনী উপায়ে আর কোন রাষ্ট্র মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে লড়েনি। আইনগত দিক থেকে বিষয়টি অবশ্যই বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। (http://bit.ly/2zi3nMQ)
    ৩) রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে দুই পরমাণুশক্তিধর রাষ্ট্র পাকিস্তান ও ইরানের সেনাপ্রধানদের একত্বতা ঘোষণা। (http://bit.ly/2fuaeHx)
    জাতিসংঘ-ইউরোপ-আমেরিকা কি করলো ?
    জাতিসংঘ প্রথম দিন থেকে লাফাচ্ছে, কিন্তু এথিনিং ক্লিনজিং হয়েছে নাকি জেনোসাইড হয়েছে, এই দুই শব্দের মধ্যেই এখনও সে আটকে রয়েছে। এর মধ্যে এক জাতিসংঘ কর্মকর্তাই অভিযুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গা গণহত্যার পেছনে ইন্ধন দেয়ার জন্য । (http://bit.ly/2gUSFUZ)
    অন্যদিকে, এ ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা দেশে মিয়ানমারের কোন সেনাসদস্যকে কোন ধরনের ভিসা দেবে না। (http://bit.ly/2zhbbP7) আচ্ছা মিয়ানমারের সেনারা ইউরোপে না যেতে পারলে কি খুব বেশি অসুবিধা হবে ?
    আমেরিকাও একই পথের পথিক। ঘটনার দুই মাস পর তাদের ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া-
    “স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতি অনুযায়ী সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের কারণে মায়ানমারের ওপর সীমিত মাত্রায় ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় সহিংসতায় জড়িত বার্মিজ সেনা ইউনিট ও অফিসারদের সামরিক সহায়তা প্রত্যাহার করে নেবে দেশটি।” (http://bit.ly/2gV2PEY)
    লক্ষ্য করুণ-
    - কোন কোন সেনা ও সামরিক কর্মকর্তা জড়িত সেটা আগে চিহ্নিত করতে হবে।
    - এরপর তাদের সামরিক সহায়তা প্রত্যাহার করে নেবে।
    - কিন্তু ওদের সাথে আমেরিকার সামরিক সম্পর্ক কতটুকু সেটাও আগে দেখা প্রয়োজন।
    বছর দুই আগে একটা খবর আসে- ইরানের পরমাণু ইস্যুতে আমিরকা-ইসরাইল দ্বন্দ্ব।
    নেতানিয়াহুকে ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করলো ওবামা । (http://bit.ly/2zRoJNw)
    আহহারে, ওবামা কত বড় মুসলিমপ্রেমী। ইরানের পরমানু ইস্যুর জন্য একেবারে নেতানিয়াহুকে ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করে দিলো ??? এই হলো মুসলিম দেশগুলোর স্বপক্ষে আমেরিকার নেয়া উদ্যোগের নমুনা।
    আমি দেখছি, আমেরিকা সারা বিশ্ব জুড়ে মুসলমানদের যতই নির্যাতন করুক,
    মুসলমানরা ঐ আমেরিকাকেই আপন মনে করে।
    মুসলমানরা যদি মুসলমানদের জন্য কিছু করেও তবে সেটা চোখে দেখে না,
    কিংবা সেটা কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে চিন্তা নাই,
    বরং আমেরিকা একটু টোপ ফেললে মুসলমানরা লাফ দিয়ে পরে।
    আমার অবাক লাগে,
    রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকা এখনও কিছুই করেনি। এতদিন পর শুধু কথা বলেছে। আর তাতেই একদল মুসলমান ‘আমেরিকা এ অঞ্চলে আসলে ভালো হয়’ এমন বক্তব্য দেয়া শুরু করেছে। এরা নিজেই নিজ জাতির কতটুকু ভালো চায় তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।


    ------------------------------------------------------------------

    --আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
    (https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
    --পেইজ কোড- 249163178818686 ।

    --আমার ফেসবুক ব্যাকআপ পেইজ-  Noyon Chatterjee 6
    (https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728