অপরাধীকে নারী, সংখ্যালঘু, অসুস্থ ইত্যাদি টাইটেল দিয়ে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই
শিক্ষক মাত্রই মানুষ, তাই তিনি অসুস্থ হতেই পারেন।
কিন্তু তিনি যখন ক্লাসে ঘুমিয়ে পরবেন, তখন তিনি অপরাধী । এবং সেটা যদি পরীক্ষা হলে ঘুমানো হয়, তবে অপরাধের মাত্রা আরো বেশি বলতে হয়। হ্যা, তার যদি এতই অসুস্থ লাগে তবে তিনি ছুটি নিলেন না কেন ? আর যদি অসুস্থই থাকেন, তবে ছুটি চেয়েছিলেন কি ? তিনি ছুটি না চেয়ে পরীক্ষার হলে এসে ঘুমিয়ে পড়লেন, এটা তো কোন দায়িত্বশীলতার মধ্যে পরে না। এ ধরনের শিক্ষকের জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে মান নেমে যায়। সেই বিষয়টি যখন মিডিয়ায় চলে আসে তখন তার তো অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, উল্টো। কারণ শিক্ষিকা ছিলো হিন্দু, নাম দীপ্তি বিশ্বাস।
বাংলাট্রিবিউনের মত কিছু নিলর্জ্জ পোর্টাল, ঐ দোষী শিক্ষিকার হয়ে দালালি করছে। ঐ শিক্ষিকার স্বামী তো মামলা করার হুমকি দেয়। আর দোষী শিক্ষিকা নিজের অপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়া দূরের কথা, উল্টো তার অপরাধ যারা মিডিয়ায় ফাঁস করলো তাদের বিচার চেয়ে বসলো !!!
(http://bit.ly/2gXp8Hc)
তারমানে এখন থেকে হিন্দুদের কোন অন্যায় মিডিয়াতে ফাঁস করা যাবে না । যে ফাঁস করবে উল্টো তাকে হ্যারাসমেন্ট করা হবে।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে- চোরের মায়ের বড় গলা। কিছুদিন আগে সাংবাদিক আনিস আলমগীর এক স্ট্যাটাসে বলেছিলেন- তিনি এক হিন্দু নার্স চিনেন, যে ঢাকায় এক ডাক্তারের বাসা দখল করে রেখেছে। ঐ হিন্দু নার্সকে বাসা ছাড়তে বললেই সে হুমকি দেয়- ভারতীয় হাই কমিশনে বিচার দেবো। কে চায় কে কোন ফাঁদে পড়ে চাকরি হারাতে। অথচ ঐ নার্স সাজা পেলে তা হবে হিন্দু বঞ্চনা। (http://bit.ly/2zEagoR)
আমার মনে হয়, হিন্দুদের এই ‘বড় গলা’ হওয়ার পেছনে কিছু মিডিয়ার অপসাংবাদিকতাও দায়ী। যেমন –এ ঘটনাটিকে যেমন নির্লজ্জভাবে তুলে আনছে বাংলাট্রিবিউন পোর্টালটি, একই কাজ তারা করেছিলো বছর খানেক আগে নারায়নগঞ্জ জেলার শ্যামল কান্তি নামক এক শিক্ষককে নিয়েও।
ঐ স্কুলের ছাত্রদের জবানবন্দি- শ্যামল কান্তি ক্লাসরুমে এক ছাত্রকে পেটের মধ্যে ঘুষি দিয়ে মারাত্মক আহত করে, এরপর তাকে ডাক্তারের কাছে না পাঠিয়ে ক্লাসে আটকে রাখে এবং ভুল ঔষধ খাওয়ায়। এরপর ঐ একই দিন সে ধর্মীয় অবমাননাও করে। (https://youtu.be/
এতকিছুর পর পাবলিক যখন তার উপর ক্ষেপে যায়, তখন তাকে রক্ষা করার জন্য যায় স্কুল কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান। তিনি চেয়েছিলেন- তাকে লঘু শাস্তি দিয়ে পাবলিকের ক্ষোভ থেকে সরাতে । কিন্তু এতেই উল্টো দোষ হয়ে যায় সেলিম ওসমানের। বাংলাট্রিবিউন, একাত্তর টিভিসহ কিছু মিডিয়া ক্যু করে সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে। আমি অনেকবার দেখেছি, আওয়ামী নাস্তিক রেহমান সোবহানের ছেলে, ইহুদীবাদী লেখক সংস্থা পেন ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশের সদস্য কাজী আনিস আহমেদের এই বাংলাট্রিবিউন পোর্টালটি একপেশে নিউজ ছেপে দেশে হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্ব তৈরীর জন্য কাজ করে।
অপরাধীকে নারী, সংখ্যালঘু, অসুস্থ ইত্যাদি ‘টাইটেল’ দিয়ে ছাড় দিয়ে অপরাধ প্রকাশকারীকে হেনস্থা করলে সমাজে অপরাধ কখনই কমবে না, বরং অপরাধী বেপরোয়া হলে অপরাধ বাড়তেই থাকবে। হ্যা যদি তাকে ছাড় দিতেই হয়, তবে সেটা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা করবে, পক্ষ-বিপক্ষ বিচার করে করবে। সেটার দায়িত্ব মিডিয়ার না। মিডিয়া যদি মানুষের ইমোশনকে ব্যবহার করে একপেশে নিউজ ছাপায়, তবে সচেতন মহলের কাছে মিডিয়ার গুরুত্ব শূণ্য হয়ে পড়বে বলেই মনে হয়।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments