হিন্দুরা একটা গোয়াল ঘর পুড়ে গেলে যে পরিমাণ কান্না করতে পারে, মুসলমানরা দশটা লাশ পাশে নিয়েও সে কান্না করতে পারে না।
আমি হিন্দুদের মধ্যে এই কান্না’র বিষয়টি সব সময় দেখি। শুধু হিন্দুরা নারী নয়, হিন্দু পুরুষগুলো পর্যন্ত ক্যামেরাম্যান বা নেতা-নেত্রী দেখলে গড়াগাড়ি করে কান্নাকাটি করে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে- ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেইল। এই ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেইলটা হিন্দুদের খুব বড় অস্ত্র। এটা তারা মুসলমানদের উপর খুব সাফল্যের সাথে প্রয়োগ করে।
আমার মনে হয় হিন্দুদের অস্ত্রের শক্তির থেকে তাদের এই কান্নাকাটির অস্ত্রটা আরো অনেক শক্তিশালী। একটু চিন্তা করে দেখুন-
১) প্রথমে তারা নিজেরাই ঘরে আগুন দিলো।
২) এরপর কান্নাকাটি করলো।
৩) সেই কান্নাকাটি বন্ধ করতে ৬ জন মুসলিমকে হত্যা করা হলো, ১০০ জনকে আহত করা হলো।
৪) ২ হাজার মুসলমানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ৩০ গ্রামের পুরুষ শূণ্য করে দেয়া হলো।
৫) এই কান্নার জোড়ে গোয়াল ঘরের বদলে পাকাবাড়ি উঠলো।
৬) এই কান্নার জোরে একেক জন কয়েক লক্ষ টাকা করে পেলো।
৭) এই কান্নার জোরে তারা অপরাধ করেও হলো সাধু ও লাভবান। আর মুসলমান অপরাধ না করেও হলো হতাহত ও অপরাধী।
তবে ভুলটা মুসলমানের। হিন্দুদের আমি কোন দোষ দেই না। তারা তাদের প্রতিপক্ষ মুসলিমের বিরুদ্ধে সব অস্ত্র প্রয়োগ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু মুসলমান কেন হিন্দুর এই মায়াকান্না দেখলে গলে যায়। কেন মুসলমানদের পক্ষ বাদ দিয়ে হিন্দুর পক্ষ নেয়। অনেক মুসলমান তো ভাবে তাদের নবীর অবমাননা কোন ব্যাপার না, মুসলমানের লাশ কোন ব্যাপার না। কিন্তু কোন হিন্দুকে চোখের পানি ফেলতে দেয়া যাবে না।
মুসলমানরা হিন্দুদের কাছে ততদিন হারতে থাকবে, যতদিন তারা হিন্দুদের এই কান্নাকাটি বিশ্বাস করবে। “হিন্দুরা কেঁদে কেটে গড়াগড়ি খাবে, কিন্তু মুসলমানরা বিশ্বাস করবে না, তোয়াক্কা করবে না”, যেইদিন এমন দিন আসবে সেদিন মুসলমান ঘুরে দাড়িয়েছে বলে মনে করবো, এর আগে না।
------------------------------------------------------------------
--আমার ফেসবুক মূল পেইজ Noyon chatterjee 5
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
(https://www.facebook.com/noyonchatterjee5),
--পেইজ কোড- 249163178818686 ।
No comments