ফজলে হাসান আবেদের ঘাড়ে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদের তলোয়ার
ব্র্যাক এনজিও’র প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদকে ব্রিটিশ রাজ পরিবার থেকে থেকে দেয়া হয়েছে নাইটহুড উপাধি। নাইটহুড উপাধির কারণে ফজলে হাসান আবেদকে ডাকা হয়- ‘স্যার ফজলে হাসান আবেদ’ বলে। ইতিহাস বলে, ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদের সূচনা হয়েছিলো জলদস্যুর মাধ্যমে। ব্রিটিশ সম্রাজ্যে যে যত বড় জলদস্যু, সে তত বড় ‘স্যার’।
Sir James Lancaster,
Sir Henry Mainwaring,
Sir Amyas Preston,
Sir Walter Raleigh,
Sir George Somers,
Sir Francis Verney
(https://en.wikipedia.org/
এগুলো হলো- ইতিহাস কুখ্যাত সব ব্রিটিশ জলদস্যুর নাম। এদের কাজ ছিলো জাহাজে আক্রমণ করে লুটপাট করা এবং সেই সম্পদ ব্রিটিশ রানীর হাতে তুলে দেয়া।
সময় পাল্টেছে, লুটপাটের ধরনও পাল্টেছে। আগে জলদস্যু বাহিনী খুলে ডাকাতি করা হতো, এখন এনজিও বানিয়ে লুটপাট করা হচ্ছে। আমি দেখেছি, অনেক বুদ্ধিজীবি বাংলাদেশে সক্রিয় এনজিওগুলোকে তুলনা করেছে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেমন নীল চাষের মাধ্যমে বাংলার জনগণের রক্ত চুষে খেতো, এখনও বাংলাদেশের এনজিওগুলো বাংলাদেশের জনগণকে চুষে খাচ্ছে। তবে তাদের গন্তব্য ঠিক আছে। উভয় সম্পদ চুষে পাঠাচ্ছে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদের কাছে।
ফজলে হাসান আবেদ এর নামের পরে লেখা হয় KCMG । লেখার সিস্টেম: Sir Fazle Hasan Abed KCMG। KCMG কোন পুরুষ্কার নয়, একটি চাকুরী। বিদেশী রাষ্ট্রতে ব্রিটেনের স্বার্থ রক্ষার্থে যে সব ব্যক্তিকে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হয় তাদের KCMG বলে। (http://www.brac.net/
সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘ব্র্যাক এনজিও’র ব্যাপক ও সন্দেহজনক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু কেন এই উৎসাহ ? এর পেছনে ফজলে হাসান আবেদের কি এজেন্ডা থাকতে পারে ??
গত আগস্টে মায়ানামারের রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা শুরু হওয়ার পর রুশ গোয়েন্দারা এক রিপোর্টে দাবি করেছিলো, “রাখাইনে অস্থিতিশীলতার মুলে রয়েছে আমেরিকান ধনকুবের ইহুদী তেল ব্যবসায়ী জর্জ সরোসের তেল ও গ্যাস ব্যবসা।” (http://bit.ly/2jaK3Kl) জর্জ সরোস বঙ্গোপোসাগরের এ অংশে তেল ও গ্যাস সম্পদের ব্যাপারে প্রচুর উৎসাহি এবং সেই স্বার্থেই সে ঘটনাগুলোর পেছনে কাজ করছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই আমেরিকান ধনকুবের ইহুদী তেল ব্যাবসায়ী জর্জ সরোসের খুব ঘনিষ্ট জনের নাম হচ্ছে ফজলে হাসান আবেদ ও ড. ইউনুস। ২০০৬ সালে ইহুদী তেল ব্যবসায়ী জর্জ সরোস বাংলাদেশের শাহবাগে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলো। সেই অনুষ্ঠানের স্টেজে জর্জ সরোসের একপাশে বলেছিলো ফজলে হাসান আবেদ আর একপাশে বসেছিলো ড. ইউনুস (http://bit.ly/2oLaRDL)। আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে ইউনুসের গ্রামীনফোনের গুরুত্বপূর্ণ শেয়ারহোল্ডার হচ্ছে এই জর্জ সরোস (http://bit.ly/2wJSXmT)। ২০১৩ সালে জর্জ সরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন থেকে ফজলে হাসান আবেদকে পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়।(http://bit.ly/2BMrWCk)
অতি সম্প্রতি পাকিস্তান তার দেশে ব্র্যাক এনজিওকে নিষিদ্ধ করেছে (http://bit.ly/2CDyd08)। এর কিছুদিন পর ফের ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করে জর্জ সরোসের সমস্ত এনজিওকে। (http://reut.rs/2D23DhJ)
শুরুতেই বলেছি, এনজিওগুলোকে অনেকে তুলনা করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিন্তু শুরুতে এ অঞ্চলে ব্যবসা করার নাম দিয়ে এসেছিলো, তারা ভারতবর্ষের ক্ষমতা দখলের কথা মুখেও আনেনি। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা সক্রিয় হয়ে উঠে এবং অনুমতি পাওয়ার ১৫৭ বছর পর তারা এ অঞ্চলের ক্ষমতা হাতে নিয়ে নেয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে ব্র্যাকের কার্যক্রম আপাতত নিরীহ ঠাওর হলেও সে আগামীতে আদৌ নিরীহ কিনা কিংবা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মত বাংলাদেশের ক্ষমতা হাতে নেয়ার চেষ্টা করবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ব্রাকের সহযোগী ইউনুস কিন্তু একবার ক্ষমতা হাতানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। ফজলে হাসান আবেদের কার্যক্রম যথেষ্ট সন্দেহজনক, অন্তত তার ঘনিষ্ট সহযোগী জর্জ সরোসের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে তা অনায়াসে বলা যায়। ব্র্যাক শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও। ব্র্যাকের কর্মকর্তা-চাকুরের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। এরা প্রশিক্ষিত ও সুসংগঠিত। এই সুসংগঠিত ও প্রতিশিক্ষত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা যদি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পনির মত বড় কোন পল্টি মারে, তখন সেটা বাংলাদেশের মানুষ ও সরকার সামলাতে পারবে তো ? জর্জ সরোসের চোখ পড়ায় রোহিঙ্গারা এলাকা ছাড়া হয়েছে, বাংলাদেশীদেরও যেন রোহিঙ্গাদের মত অবস্থা না হয়, সে জন্য আগে থেকেই চিন্তা করা জরুরী।
========================================
-----------------------------------------------------------------------
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
-----------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------
No comments