চট্টগ্রামে পদদলিত হওয়ার মূল কারণ : ‘হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা’
- “ভাই পূজায় গিয়ে প্রসাদ খেয়েছেন ?”
- “না খাই, প্রসাদ হিন্দুদের খাবার ।”
- “খাবারের আবার ধর্ম কি ? মুসলমান হলেও মন্দিরে যাবেন এবং প্রসাদ খাবেন ”
উপরের কথাগুলো আমরা প্রায় হিন্দু ও নাস্তিকদের মুখ থেকে শুনি।
হিন্দুদের হোটেল কিংবা হিন্দুদের মিষ্টির দোকানে মুসলমানরা না গেলে তারা সব সময় মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক বলে ট্যাগ দেয়। পহেলা বৈশাখ হিন্দু সংস্কৃতি হওয়ায় মুসলমানরা না গেলে তারা ছি: ছি: করে।
তাহলে আজকে কেন কুলখানির খাবারে হিন্দু-মুসলিম ভাগ হতে গেলো ?
কারা এই ভাগ করলো ? তারা কি সাম্প্রদায়িক নয় ??
সারা জীবন হিন্দু-মুসলমান একসাথে কমিউনিটি সেন্টারে বসে খেলো,
কিন্তু আজকে কেন হিন্দুদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে ?
কেন হিন্দুদের জন্য আলাদা কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করতে হবে ?
যেই সেন্টারের দায়িত্বে থাকবে হিন্দুরা, এমনকি খাবার বেড়েও দিবে হিন্দুরা !
আসলে সত্যি বলতে, বাংলাদেশে চট্টগ্রামে হিন্দু সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদীদের একটি বিরাট কমিউনিটি বাস করে।
- সূর্যসেন-প্রীতিলতার মত হিন্দু সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রামের,
-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা রানা দাসগুপ্ত চট্টগ্রামের,
-ফেসবুকে ৭৬ হাজার হিন্দুর গোপন উগ্রবাদী গ্রুপ সনাতন চট্টগ্রামের,
- চট্টগ্রামে মুসলিম মুক্তিযোদ্ধাদের বলি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো সেখানকার হিন্দু উগ্রবাদীরা (http://bit.ly/2zrGpil)
-চট্টগ্রামে গরু জবাই করলে মুসলমাদের গর্দান ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলো সেখানকার উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা। (https://youtu.be/xxTlESj4dOU)
-চট্টগ্রামেই প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছিলো উগ্রহিন্দুরা। (https://youtu.be/1D11lPWWHZ8)
সেই উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দু কমিউনিটির চিন্তা-চেতনা থেকেই আসলে হিন্দুদের পৃথক কমিউনিটি সেন্টার নেয়া, যার মাসুল আজকে তারা দিচ্ছে। ১৩টি কমিউনিটি সেন্টার সবার জন্য উন্মুক্ত ছিলো, সেখানে কোন সমস্যা হলো না। কিন্তু হিন্দুদের জন্য ১টি পৃথক করায় সেখানে বেধে গেলো হাঙ্গামা । সাম্প্রদায়িক বিভাজন না করে ১৩টির যায়গায় যদি ১৪টি কমিউনিটি সেন্টার সবার জন্য উন্মুক্ত করা হতো, তবে এ সমস্যা হওয়ার কথা ছিলো না।
এই পদদলিত হওয়ার ঘটনার জন্য চট্টগ্রামের হিন্দুদের উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ১০০% দায়ী, এতে কোন সন্দেহ নাই।
বি: দ্র: যেসব সেক্যুলারবেশী হিন্দুত্ববাদীরা স্ট্যাটাস দিচ্ছে, “আরো বেশি কমিউনিটি সেন্টার দরকার ছিলো”। তাদের সূত্র অনুসারে হিন্দু হোটেল বা হিন্দুর মিষ্টির দোকানেও মুসলমানরা যেতে পারবে না।
========================================
-----------------------------------------------------------------------
(https://www.facebook.com/Noyon-Chatterjee-6-202647270140320/)
-----------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------
No comments